Vitamin D in Veggies

শুধু সূর্যের আলো নয়, ভিটামিন ডি রয়েছে চেনা কিছু সব্জিতেও! জেনে নিন ৮টি নাম

ভিটামিন ডি-র অভাবে অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা, পেশিদৌর্বল্য, রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়ার পাশাপাশি শরীরে কিছু নাছোড় অসুখের প্রকোপও বাড়ে। তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:৩৫

ছবি : সংগৃহীত।

ভাল থাকার জন্য ভিটামিন ডি কতখানি কার্যকরী, তা করোনা অতিমারির সময়ে শিখেছিল মানুষ। কারণ তারা জেনেছিল, এটি এমন একটি ওষুধ, যা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। যার জন্য বাড়ির বাইরে বার হতে হয় না। ঘরের লাগোয়া বারান্দা কিংবা ছাদে উঠলেই হয়।

Advertisement

ভিটামিন ডি হল এমন এক ভিটামিন, যার উপর মানুষের শরীর এবং মন দুয়েরই ভাল থাকা নির্ভরশীল। এক দিকে, ভিটামিন ডি হাড়-পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পারে, আবার মনমেজাজও ভাল রাখতে পারে। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা তৈরি হয়, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমে যায়। তাতে শরীরে নাছোড় অসুখের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। কাজ করার ইচ্ছেও যায় চলে। ভাল থাকার জন্য তাই শরীরে ভিটামিন ডি-র ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

দিনের প্রায় পুরোটাই অফিসে বসে কাটে যাঁদের, তাঁদের রোদ পোহানোর সময় নেই। সাপ্লিমেন্ট দিয়ে সেই অভাব পূরণ করে যায় ঠিকই, তবে খাবারের মাধ্যমেও পুষ্টি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম, মাখন, তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন ডি থাকে। কৃত্রিম ভাবে ভিটামিন ডি মেশানো হয় উদ্ভিজ্জ দুধ, ব্রেকফাস্ট সেরেল, প্যাকেটজাত ফলের রসেও। তা ছাড়া কিছু শাকসব্জিও আছে, যা অন্য খাবার থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করার ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

১। পালং শাক: পালং শাকের গুণের কমতি নেই। খেতেও ভাল। শীতের বাজারে পাওয়াও যায় অনেক বেশি। পালং শাকে থাকা নানা পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে সাহায্য করে।

২। করলা: করলা ভাজা থেকে শুরু করে করলার রস— সবই খাওয়ার চল আছে। যাঁরা খান, তাঁদের শরীরে অন্যান্য খাবারের থেকে ভিটামিন ডি সংগ্রহের ক্ষমতা বাড়বে।

৩। লাউ: লাউ দিয়ে চিংড়ির ঘণ্ট রাঁধা হয়। আবার রোগা হতে চান যাঁরা, তাঁদের অনেকে সাতসকালে লাউয়ের রস খান। শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব মেটাতেও লাউ খেতে পারেন।

৪। রাঙা আলু: আলুর সঙ্গে যখন বাংলার পরিচয় হয়নি, তখন এই রাঙা আলুই ছিল বাঙালির ভরসা। পুষ্টিকর এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ রাঙা আলুতে সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।

৫। কুমড়ো: কুমড়ো দিয়ে ছক্কাও হাঁকাতে পারে বাঙালি। ছুটির সকালে পরোটা বা লুচির সঙ্গে কুমড়োর ছক্কা থাকলে জমে যায় জলখাবার। কুমড়োও ভিটামিন ডি গ্রহণে সাহায্য করে।

৬। ডাঁটা: ঝোল হোক বা শুক্তো বা চচ্চড়ি, ডাঁটা চিবোতে ভালবাসে বাঙালি। সেই ডাঁটাতেও রয়েছে অতি সামান্য ভিটামিন ডি।

৭। ঝিঙে: ঝিঙে দেখলে অনেকেই নাক সিঁটকোন। তবে ঝিঙেয় থাকা অন্যান্য পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ওই সব্জি ভিটামিন ডি গ্রহণেও সহায়ক।

৮। মাশরুম: কিছু কিছু মাশরুম আছে, যা রোদে বাড়ে, তাতে সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে তৈরি হয় ভিটামিন ডি। তবে ছায়ায় বাড়লে, মাশরুমে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না।

Advertisement
আরও পড়ুন