অঙ্কিতা মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত।
ঢাকে কাঠি পড়ল বলে। রাত পোহালেই মহালয়া। ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। কারণ, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মনে কোনও উত্তেজনা নেই। এখন তাঁরা প্রত্যেকেই তো ব্যস্ত সিরিয়ালের ব্যাঙ্কিং তোলার জন্য। সকাল-সন্ধ্যা শুটিং চলছে। তাই নতুন জামাকাপড় কেনারও ফুরসত নেই। কিছু দিন আগে এই কারণে মনখারাপের কথা জানিয়েছিলেন এক অভিনেত্রী। সেই মনখারাপের কথাই শোনা গেল ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালের নায়িকা অঙ্কিতা মল্লিকের কণ্ঠেও। এই মুহূর্তে টিআরপি তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘জগদ্ধাত্রী’। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে ‘ফুলকি’র সঙ্গে। তাই রয়েছে বেশ বাড়তি চাপও। তবে এখন যতই চাপ নিয়ে কাজ করতে হোক না কেন, পুজোর চার দিন পুরো ছুটি। এই ক’টা দিনের জন্য বিশেষ কী পরিকল্পনা করেছেন অঙ্কিতা? জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে।
শুটিং ফ্লোরে শট দেওয়ার ফাঁকে নায়িকা বললেন, “কিছুই তেমন পরিকল্পনা নেই। চারটে দিন কাজের মধ্যেই কেটে যাবে। অল্প কিছু কাজ আছে। ব্যস্, এটুকুই।” এখনও কলেজের গণ্ডি পার করেননি অঙ্কিতা। এত কম বয়সে কেন এত উত্তেজনা কম? কাজের মধ্যে ঢুকে গিয়ে সহজেই ছোটবেলাটা হারিয়ে ফেলছেন কি? মনখারাপ হয়? অঙ্কিতা বলেন, “হ্যাঁ, মনখারাপ তো হয়ই। তবে বার বার মনে হয়, এই কাজই তো করতে চেয়েছিলাম। যে ভাবে নিজের কেরিয়ার দেখতে চেয়েছিলাম, সেটাই করছি। এই দিকে থেকে দেখলে তো মনখারাপ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই বেশ ভাল আছি।” নায়িকার বেড়ে ওঠা যাদবপুর অঞ্চলে। ফলে সব সময় পুজো কলকাতাতেই কেটেছে। তিনি বলেন, “কোনও দিনই আমার প্যান্ডেল ঘুরে ঠাকুর দেখার উত্তেজনা থাকে না। হ্যাঁ, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বার হই। তবে লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখার অত ক্ষমতা নেই আমার।”
যদিও এত আলোচনার মাঝে পুজোর প্রেমের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন নায়িকা। সে কথা উঠতে অবশ্য স্বীকার করেছেন, বন্ধুদের পাশাপাশি মনের মানুষের সঙ্গেও পুজোয় ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু এখন অঙ্কিতা একেবারেই ‘সিঙ্গেল’।