যশ-নুসরত রসায়ন নিয়ে মুখ খুললেন শ্বেতা।
তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল খুললেই চোখে পড়ে— ‘আমার হৃদয় যেন নরম হয়। মন ভয়হীন। মেজাজ সাহসী।’
তিনি শ্বেতা সিংহ কালহানস। মুম্বইয়ের বাসিন্দা এই মহিলা এক সংবাদমাধ্যমের কর্মী। এর বেশি যেন আর তিনি আর কিছুই নন। স্রেফ ‘আম আদমি’।
এবং তিনি আদৌ সাধারণ নন। কারণ, তাঁর অন্য পরিচয় আছে। তিনি অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রাক্তন স্ত্রী। যিনি এই প্রথম কোনও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন। যশ এবং নুসরত জাহানকে নিয়ে গত কয়েকমাসের ঘটনাপ্রবাহে যাঁকে কোথাওই দেখা যায়নি। কথা বলে অবশ্য মনে হল, দেখা যাওয়ার কথাও ছিল না। মুম্বই থেকে ফোনে তাঁর প্রাক্তন স্বামী এবং স্বামীর বর্তমান বান্ধবীকে নিয়ে সোজা-সহজ-সরল জবাব দিলেন শ্বেতা।
আনন্দবাজার অনলাইন: কেমন আছেন আপনি?
শ্বেতা: আমি আমার মতো আছি। মুম্বইয়ে থাকি। সংবাদমাধ্যমে কাজ করি।
প্রশ্ন: আপনি তো অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের স্ত্রী...।
শ্বেতা: (থামিয়ে দিয়ে) ছিলাম। এখন নেই। আমাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। একটা কথা বলি, যশ এখন এমনিতেই বিতর্কের মধ্যে আছে। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি কিছু বলব না। তবে আপনি এ নিয়ে যে একেবারেই প্রশ্ন করতে পারবেন না, এমনও বলছি না। প্রশ্ন করতে পারেন। আমি আমার মতো করে জবাব দেব।
প্রশ্ন: যশের যে বিয়ে হয়েছিল, সেটাই তো অনেকে জানে না!
শ্বেতা: এ বার জানবেন! মুম্বইয়ে যশের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। আমাদের ১০ বছরের ছেলেও আছে।
প্রশ্ন: আপনাকে যশের প্রাক্তন স্ত্রী বলেও তো কেউ চেনে না!
শ্বেতা: কোনও দিন সামনে আসিনি। তাই হয়তো।
প্রশ্ন: টলিপাড়ায় আপনার কোনও বন্ধু নেই?
শ্বেতা: বছর তিনেক ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। এটা সেই সময়, যখন যশের সঙ্গে ডিভোর্স নিয়ে লড়ছি। ব্যস! ওইটুকুই। তার পর মুম্বইয়ে ফিরে আসি। তার পর টলিপাড়ার সঙ্গে আর কেনই বা যোগাযোগ থাকবে!
প্রশ্ন: কিন্তু আপনি কোনও সময় প্রকাশ্যে কেন আসেননি?
শ্বেতা: ইন্ডাস্ট্রির আমি কেউ নই। আর যশের সঙ্গে আমার তো বিচ্ছেদ হয়েই গিয়েছে। সামনে এসে কী করব বলুন?
প্রশ্ন: এখন তো কেবল যশ আর নুসরত প্রকাশ্যে।
শ্বেতা: আমি নুসরতকে দেখেছি। কিন্তু চিনি না। তাই কিছু বলতে চাই না।
প্রশ্ন: পুনমকে (যশের প্রাক্তন বান্ধবী পুনম ঝা) চেনেন?
শ্বেতা: না। মন্তব্য করার মতো চিনি না। তবে যশকে চিনি। ওকে জানি। যশের মেলামেশা করার একটা পদ্ধতি আছে। সেটাও জানি আমি। তবে আমার মনে হয় এ বার সময় হয়েছে! ভবিষ্যতে যশ কীভাবে নিজেকে প্রকাশ করবে, তার সিদ্ধান্ত এ বার ওর নিয়ে নেওয়া উচিত।
প্রশ্ন: আপনি যশকে এখনও ভালবাসেন?
শ্বেতা: যশ আমার ছেলের বাবা। ওর সঙ্গে সেই সূত্র ধরে যেটুকু যোগাযোগ রাখতে হয় রাখি। আমাদের সন্তান পারস্পরিক হেফাজতের অধীনে। ডিভোর্সের সময় আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর ভালবাসা? যশ যে দিন আমাদের পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সে দিন থেকেই ওর জন্য আমার ভালবাসা উধাও হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন: কিন্তু আপনাদের ছেলে তো আছে।
শ্বেতা: ছেলে আমার সঙ্গে থাকে না।
প্রশ্ন: কেন?
শ্বেতা: শুনুন! সব মিটিয়ে দিয়েছি। আমার অতীত নিয়ে অনেক দিন থেকেই ভাবনাচিন্তা বন্ধ করে দিয়েছি। অনেক হয়েছে!
প্রশ্ন: এখন তা হলে আর কোনও সমস্যা নেই?
শ্বেতা: সমস্যা কখনও শেষ হয় না। নিজের মতো করে, নিজের ইচ্ছায় জীবন কাটাতে পারছি না। তবে এ সবের মধ্যেও আমার একার জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখি। মনে হয় স্বপ্নে বাঁচি।