যশ এবং নুসরত।
‘যা কিছু আঘাত করে, তা-ই যেন আশীর্বাদ হয়ে ফেরে। অন্ধকারই প্রদীপ। বাঁধার প্রাচীর নতুন কিছু খোঁজার উৎস। ব্যর্থতার চাবি দিয়েই রাজত্বের দরজা খোলে।’
লম্বা চাবির ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে জীবন নিয়ে তাঁর অনুভূতিকে প্রকাশ করলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। অভিনেত্রী, সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে তাঁর বিশেষ বন্ধুত্ব, সকলের নজর এড়িয়ে বেড়াতে যাওয়া, একসঙ্গে দিন কাটানো এবং সর্বোপরি নুসরতের মা হওয়া। একের পর এক ঘটনায় খবরের শিরোনামে যশ। নুসরতের সন্তানের বাবা কি তিনি? ইন্ডাস্ট্রি থেকে নেটমাধ্যম, প্রতিনিয়ত এই প্রশ্ন ঘুরছে তাঁকে ঘিরে। প্রকাশ্যে এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তিনি। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মনের কথা সরাসরি লিখছেন যশ। ফরাসি কবি রুমির পংক্তি দিয়ে নিজে অবিচল থাকার শান্তি খুঁজে পাচ্ছেন যশ।
‘যখন কেউ কোনও ঘটনায় কেউ বিচলিত হন বা চিন্তা করতে থাকেন, তখন তাঁকে ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। ধৈর্যের দরজা দিয়ে খুশি আসবে জীবনে। তুমি ভাবছ দরজা বন্ধ। তুমি বন্দি। আসলে তুমিই চাবি। তোমাকে দিয়ে দরজা খুলবে।’
রুমির এই পংক্তির উল্লেখ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যশ নিজের জীবনে আসা বিতর্কের ঝড়কে যেন স্থিরতার সঙ্গে ইতিবাচক লেখনের মধ্যে দিয়েই সামলাচ্ছেন। আলোর চাবি তাঁর হাতেই আছে। অন্ধকারকে তিনি ভয় পান না।
তাঁর কাছেই কি আছে 'যশরত'-এর আলোময় জীবনের চাবি? নতুন কেউ আসার চাবি? এমনটাই কি ইঙ্গিত করলেন যশ?