নুসরতকে কোলে নিয়ে প্রেমের শক্তি বৃদ্ধি যশের
‘সমুদ্র উপকূলে শক্তি সঞ্চয় করছেন যশ’। সমুদ্র উপকূলে শক্তি সঞ্চয় করছে ‘ইয়াস’। দু’টো বাক্যকে মিম দিয়ে মিলিয়ে দিলেন নেটাগরিকরা। বিপত্তি কেবল নামে। এক জনের নাম যশ (ইংরেজিতে যাঁকে ইয়াশ বলে ডাকেন কেউ কেউ)। আর এক জনের নাম ইয়াস। ব্যস, সুবর্ণ সুযোগ হাতে চলে এসেছে মিম স্রষ্টাদের। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আসার খবর পেতেই শিল্প শুরু নেটমাধ্যমে। মাস কয়েক আগে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র হয়ে ভোট-যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। সেই প্রসঙ্গও টেনে আনা হয়েছে মিমে।
মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১২টায় দিঘা থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। বুধবার সকালের মধ্যে আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার স্থলভাগের কাছে পৌঁছনোর কথা ইয়াস-এর। ঠিক কী ভাবে শক্তি সঞ্চয় করছে সেই ঘূর্ণিঝড়? তার গতিবিধির উপরে নজর রাখলেন নেটাগরিকরা। সেই ছবিই ফুটে উঠল নেটমাধ্যমে।
দেখা যাচ্ছে, বিরসা দাশগুপ্তের ছবি ‘ওয়ান’-এর ‘আলাদিন’ গানের একটি ঝলক নিয়ে কাঁটাছেড়া করা হয়েছে এই ভিডিয়োয়। উপকূলীয় খেলায় মত্ত অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান। কখনও আবার নুসরতকে কোলে নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছেন অভিনেতা। কখনও আবার চোখে কালো চশমা পরে হেঁটে আসছেন ‘শক্তিশালী যশ’। আর সেই ভিডিয়োকেই ঘূর্ণিঝড়়ের ঘুরপাক খেয়ে ধেয়ে আসার সঙ্গে তুলনা করলেন নেটাগরিকরা। কোথায় যেন, যশের কালো চশমা পরে এগিয়ে আসা এবং ইয়াসের শক্তি সঞ্চয় করা এক হয়ে গেল। নেটাগরিকরা হতবাক, কী ভাবে ভোটে হেরেও মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাওয়ার জন্য শক্তি সঞ্চয় করছেন যশ!
আরও একটি ছবি দেখা গিয়েছে নেট-পাড়ায়। জলের মধ্যে সূর্য নমস্কারের ভঙ্গিতে যশ দাশগুপ্ত। সেই ছবিতে দেখানো হচ্ছে, এই পদ্ধতিতে শক্তি সঞ্চয় করছে ইয়াস। নাম-বিভ্রাটের কারণে এ যাত্রায় মিম স্রষ্টাদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন না অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। এমনকী নুসরতকেও জুড়ে দিলেন নেটাগরিকরা। তাঁদের ভালবাসার শক্তি বৃদ্ধি এবং ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধি কোথাও যেন মিলে মিশে একাকার।