সানি দেওল এবং শ্রীদেবীর জুটি পছন্দ করেছিলেন দর্শক। শ্রীদেবীর সঙ্গে হিট ছবিও উপহার দিয়েছেন সানি। কিন্তু জানেন কি তা সত্ত্বেও সানির সঙ্গে একটি ছবিতে কাজই করতে চাননি শ্রীদেবী!
উপরন্তু সানি ওই ছবির প্রস্তাব নিয়ে যখন শ্রীদেবীর কাছে গিয়েছিলেন প্রায় মুখের উপরই সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন শ্রীদেবী। এটা জানা সত্ত্বেও যে এই ছবিটিরও আগের মতোই বক্স অফিসে সফল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সানি অনেক বড় বাজেটের ছবিতে কাজ করেছেন। ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় মাপের নায়িকাদের সঙ্গেও কাজ করেছেন সানি। প্রচুর সফল ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
শ্রীদেবীর সঙ্গে ১৯৮৯ সালে সানির পর পর দু’টি ছবি মুক্তি পায়। ‘চালবাজ’ এবং ‘নিগাহ’। দু’টি ছবিই চূড়ান্ত সফল হয়।
সানি এবং শ্রীদেবীর জুটির চাহিদাও বেড়ে যায় দর্শকমহলে। শ্রীদেবী তখন ইতিমধ্যেই সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সময়জ্ঞান ছিল প্রশংসা করার মতো। শ্যুটিং নিয়ে ভীষণ কড়া ছিলেন তিনি।
অন্য দিকে সানিও শ্যুটিং সেটে কাজ ছাড়া অন্য কিছু পছন্দ করতেন না। ফলে শ্রীদেবীর কাজ করার ধরন যেমন সানি ভীষণ পছন্দ করতেন একই ভাবে সানির সঙ্গে কাজও উপভোগ করতেন শ্রীদেবী।
ধর্মেন্দ্র একটি ছবি বানাচ্ছিলেন। ছবির নাম ছিল ‘ঘায়েল’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন সানি। পরিচালক রাজকুমার সন্তোষি এই ছবিতেই প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন।
এই ছবিতে সানির বিপরীতে শ্রীদেবী ছাড়া প্রথমে কাউকেই ভাবতে পারেননি ধর্মেন্দ্র। ছবির সাফল্যের রেকর্ড অনুযায়ী সানিরও প্রথম পছন্দ ছিলেন শ্রীদেবী।
ছবির শ্যুটিং শুরু আগে শ্রীদেবীর কাছে প্রস্তাব নিয়ে হাজির হন সানি। সানি একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন তাঁরা ফের ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করবেন।
কিন্তু সানিকে অবাক করে শ্রীদেবী ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছিলেন, ছবিটি মূলত নায়ক নির্ভর। নায়িকার খুব বেশি অভিনয়ের সুযোগ নেই।
কিন্তু প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পিছনে প্রকৃত কারণ কিছু অন্যই ছিল। এর নেপথ্যে ছিলেন অনিল কপূর। অনিলের সঙ্গে সে সময় সানির গণ্ডগোল চলছিল।
দু’জনে একসঙ্গে কিছু ছবি করেছিলেন। সেই ছবি করার সময় থেকেই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। কথা বলা প্রায় বন্ধই হয়ে যায়।
বনি কপূরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রীদেবী। আর অনিলের দাদা হলেন বনি। তাই অনিল চাননি সানির ছবিতে শ্রীদেবী অভিনয় করুন।
অনিলের ইচ্ছাকে সম্মান দিতেই নাকি সানির ছবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। ‘ঘায়েল’ মুক্তি পায় ১৯৯০ সালে।
শ্রীদেবীর বদলে ছবিতে নেওয়া হয় মীনাক্ষী শেষাদ্রিকে। বক্স অফিসে এই ছবিটি চূড়ান্ত সফল হয়। জাতীয় পুরস্কারও পান সানি। পুরস্কৃত হন ছবির প্রযোজক ধর্মেন্দ্র এবং পরিচালক রাজকুমারও।