নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
গিরিশ মঞ্চের আগুন নিয়ে ‘গভীর প্রশ্ন’ ওঠা উচিত। মানুষ এবং নাটকের স্বার্থেই তার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন নাট্যব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় গিরিশ মঞ্চে ‘চেতনা’র নাটক ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা দেরিতে নাটক শুরু হয়। শেষ হয় প্রায় রাত সাড়ে ১০টায়। তার পরেই সমাজমাধ্যমে চেতনার তরফে একটি পোস্ট করেন সুমন। সেখানেই তিনি এত ক্ষণ অপেক্ষা করে নাটক দেখা দর্শকদের ‘কুর্নিশ’ জানানোর পাশাপাশি আগুন নিয়ে ‘গভীর প্রশ্ন’ ওঠা উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বুধবার সন্ধ্যায় গিরিশ মঞ্চে নাটক শুরুর মিনিট দশেক আগেই আগুন লাগে। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। তার আগেই যদিও আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে দর্শকেরা তত ক্ষণে আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। কারণ, প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে ধোঁয়া ভরে গিয়েছিল। ঝরছিল আগুনের স্ফুলিঙ্গ। সুমন মনে করেন, এমন ঘটনা গাফিলতির কারণেই ঘটেছে। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টের একেবারে শেষ বাক্যে লিখেছেন, ‘‘কিসের আর কাদের গাফিলতিতে এই কাণ্ড ঘটল সেটা নিয়ে গভীর প্রশ্ন ওঠা প্রয়োজন মানুষের স্বার্থে, নাটকের স্বার্থে।’’
তবে এমন ঘটনা ঘটলেও কোনও দর্শক বাড়ি ফিরে যাননি বলেও দাবি করেছেন সুমন। প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা পর শুরু হওয়া নাটক সকলেই দেখেছেন। সে কারণে দর্শকদের ‘কুর্নিশ’ও জানিয়েছেন সুমন। তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলা নাটকের এই দর্শককে জানাই সালাম, জানাই কুর্নিশ, জানাই প্রণাম। গিরিশ মঞ্চে আজ অভিনয়ের ঠিক ১০ মিনিট আগে একটা ভয়ানক কাণ্ড ঘটে। এসি প্লান্টে একটি অগ্নিসংযোগের ফলে প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে ধোঁয়া ভরে ওঠে এবং অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঝরতে থাকে। পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে দর্শকাসন তখন প্রায় ৮০ শতাংশ ভর্তি। সবাই অক্ষত বেরিয়ে যান, কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তার পরেই চলে উৎকণ্ঠার অপেক্ষা। অভিনয় হবে কি না সে নিয়ে অপেক্ষা। এক জন মানুষও চলে যাননি।’’ সুমন জানিয়েছেন, ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট অপেক্ষার পর অভিনয় শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। দীর্ঘ নাটক শেষ হয় সাড়ে দশটায়।