(বাঁ দিক থেকে) তাসনিয়া ফারিণ, জিয়াউল হক অপূর্ব, চঞ্চল টৌধুরী। ছবি: ফেসবুক।
বাংলা দেশে গণ অভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতন দুই বাংলার বিনোদন দুনিয়ায় কতটা প্রভাব ফেলতে চলেছে? বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি এই দিক থেকে একেবারে মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারছেন না সিনেপ্রেমীরা। কয়েক যুগ ধরে দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় অসংখ্য ছবি তৈরি হয়েছে। দুই বাংলার ছবিতে টলিউড এবং ঢালিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিত্য আনাগোনা। সে সব কি আপাতত স্থগিত? সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘পদাতিক’-এর কথাই ধরা যাক। প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানের এই ছবি প্রয়াত পরিচালক মৃণাল সেনের জীবন নিয়ে তৈরি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। ছবিটি ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ১৫ অগস্ট। বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল পরের দিন, ১৬ অগস্ট। বর্তমানে ও পার বাংলার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে এই ছবির মুক্তি কি সম্ভব?
উত্তর জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশনসের কর্ণধার ফিরদৌসলের সঙ্গে। তাঁর কথায়, “এখন ও পার বাংলায় ছবির মুক্তি সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মানুষ এই মুহূর্তে ছবি দেখার মানসিকতায় নেই। তাই ভারতে নির্দিষ্ট দিনে ছবিটি মুক্তি পাবে। বাংলাদেশের কথা এখনই বলতে পারছি না।” ছবির মুক্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসার কথা মুখ্যচরিত্রের অভিনেতার। এমন পরিস্থিতিতে চঞ্চল কি পারবেন আসতে? প্রযোজক হ্যাঁ বা না কিছু বলতে না পারলেও তিনি আাশাবাদী। ফিরদৌসলের আরও একটি ছবি ‘চালচিত্র’ পুজোয় মুক্তি পেতে পারে। এই ছবি দিয়ে টলিউডে পা রেখেছেন জ়িয়ায়ুল ফারুক অপূর্ব। বাংলাদেশেও সেই সময় সাধারণত পুজোর আবহ থাকে। কিন্তু তত দিনে কি পরিস্থিতি শান্ত হবে? প্রশ্নের জবাবে প্রযোজক জানিয়য়েছেন, পুজোর এখনও বেশ কিছু দিন দেরি। ফলে, পুজোয় ছবির মুক্তি নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না তিনি।
একই ভাবে প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীর আগামী ছবির নায়িকা তাসনিয়া ফারিণ। দেব অভিনীত সে ছবি পরিচালনা করবেন অভিজিৎ সেন। নভেম্বরে শুটিং শুরুর কথা। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রযোজক-নায়িকার কথা হয়েছে? আনন্দবাজার অনলাইনকে অতনু বলেছেন, “রোজ কথা হচ্ছে। অগস্টে ফারিণের কলকাতায় আসার কথা ছিল। আমাদের সঙ্গে বসে চিত্রনাট্য শুনবে। তার পর মহড়া দেবে। আপাতত সব বন্ধ।” তাঁরও আশা, নভেম্বরে শুটিং হলে তাঁর হাতে সময় রয়েছে। তার আগে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে।