সোনাক্ষী সিন্হা। ছবি—সংগৃহীত
অভিনয়ে এসেই পর পর বলিউডের মশলাদার ছবিতে কাজ করেছেন সোনাক্ষী সিন্হা। ‘দবং’, ‘রাউডি রাঠোর’-এর মতো ছবি করে ফেলার পর তাঁকে নিয়ে অন্য রকম প্রত্যাশা তৈরি হচ্ছিল দর্শকের। ইন্ডাস্ট্রির লোকজনও শত্রুঘ্ন-কন্যাকে ছকে ফেলার চেষ্টায় ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ ‘লুটেরা’র চুক্তিতে সই করে চমকে দিয়েছিলেন সোনাক্ষী। অনেকেই এসেছিলেন তাঁকে পরামর্শ দিতে।
কী পরামর্শ দিচ্ছিলেন তাঁরা? শুক্রবার জন্মদিনে সোনাক্ষী জানান, ‘লুটেরা’তে যাতে কাজ না করেন, তার জন্য অনেকেই বুঝিয়েছিলেন তাঁকে। পরামর্শদাতাদের দাবি ছিল, ‘লুটেরা’র চরিত্র ফুটিয়ে তোলার মতো পরিণতি সোনাক্ষীর আসেনি। যদিও ২০১৩ সালে ‘লুটেরা’য় অভিনয় করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সোনাক্ষী। বক্স অফিসে বিপুল সাফল্য না পেলেও সমালোচকেরা ছবিটির প্রশংসা করেছিলেন। রণবীর সিংহ এবং সোনাক্ষীর অভিনয় দর্শকের মন ছুঁয়েছিল। এখনও সবাই মনে রেখেছেন, বার বার দেখেন। ছবিটির পরিচালক ছিলেন বিক্রমাদিত্য মোতোয়ানে। ও হেনরির ‘দ্য লাস্ট লিফ’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল ‘লুটেরা’।
তবে ‘লুটেরা’য় অন্য ধারার চরিত্র করতে গিয়ে লোকজনের কাছ থেকে উৎসাহ পাননি বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অনেকে তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু আক্ষেপ নেই সোনাক্ষীর। তিনি বলেন, “কিছু প্রমাণ করার জন্য চরিত্রটা করিনি। ‘লুটেরা’র প্রস্তাব যখন এসেছিল, তখন আমি বেশ কিছু মশলাদার ছবিতে কাজ করছিলাম। এই ছবিটা আমার কাছে এক ঝলক টাটকা বাতাসের মতো ছিল। চিত্রনাট্যও ছিল চমৎকার। আমার চরিত্রটা ছিল যক্ষ্মা রোগীর। খুব সচেতন ভাবে কিছু করিনি। ঘটে গিয়েছিল ব্যাপারটা।”
অভিনেত্রী বলেন, “অনেকেই আমাকে বলেছিলেন এই ধরনের শৈল্পিক ছবিতে কাজ না করতে। তাঁরা বলেছিলেন, এই ধরনের ছবি করার সময় হয়নি আমার। চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে আমাকে নাকি আরও পরিণত হতে হবে। কেউই উৎসাহ দেননি। কিন্তু আমি গভীর ভাবে চরিত্রটাকে অনুভব করেছিলাম বলেই এগিয়েছিলাম। ভাবতে ভাল লাগে, সেটা সমাদর পেয়েছিল।”
‘লুটেরা’য় অভিনয় করে সোনাক্ষী বহু বার সম্মানিত হয়েছেন। তাঁকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করেছিলেন দর্শক। প্রত্যাশাও বেড়েছিল তাঁর প্রতি। সেই অভিনেত্রীকে ‘দহাড়’ (২০২৩)-এ চিনে নিতে অসুবিধা হয় না।