সলমন খান ও ভাগ্যশ্রী
সলমন খান ও ভাগ্যশ্রী। দু’জনেই নতুন। বলিউডের ঘাঁতঘোত জানেন না। প্রথম এত বড় ছবিতে নায়ক ও নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র জন্য প্রথম বার ফোটোশ্যুট করতে চলেছেন তাঁরা। একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে সে দিন। সালটা ১৯৮৯।
মঙ্গলবার ভাগ্যশ্রী ৫২ বছর বয়সে পা দিলেন। এক বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে ওই দিনের ঘটনার কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী। এত বছর পরেও ১৯৮৯ সালের ওই ঘটনাটি ভুলতে পারেননি ভাগ্যশ্রী।
শ্যুট করছিলেন এক নামকরা চিত্রগ্রাহক। হঠাৎই সলমনকে পাশে ডেকে নিয়ে যান তিনি। ভাগ্যশ্রীর আড়ালে তিনি সলমনকে নির্দেশ দেন, ‘‘আমি ক্যামেরা তাক করলেই তুমি ভাগ্যশ্রীকে কাছে টেনে নিয়ে ঠোঁটে চুমু খাবে।’’ ভাগ্যশ্রীর কথায়, ‘‘তাঁদের দু'জনের কেউই বুঝতে পারেননি যে আমি যে দূরত্বে ছিলাম, সেখান থেকে সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম। চিত্রগ্রাহকের কথা শুনে আমি চমকে গিয়েছিলাম। ভয় পেয়েছিলাম।’’ কিন্তু তার পরে সলমন খানের উত্তর শুনে তাঁর আতঙ্ক কেটে যায়। ভরসা জাগে মানুষের প্রতি। সলমন সোজাসাপটা বলে দেন, ‘‘না আমি এটা করতে পারব না। আর এমন কোনও ছবির প্রয়োজন পড়লে আপনি আগে ভাগ্যশ্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে নিন।’’
ভাগ্যশ্রী জানিয়েছিলেন, সে দিন থেকে তিনি বুঝেছিলেন সলমন বড়ই ভদ্র মানুষ। তাঁর কথায়, ‘‘ওই চিত্রগ্রাহক আজ আর বেঁচে নেই। কিন্তু তাঁর ধারণা ছিল, নবাগতাদের সঙ্গে যেমন ইচ্ছে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সলমনের মতো মানুষের জন্য বলিউড আজও ভদ্রতা জানে।’’
জন্মদিনে ভাগ্যশ্রী জানালেন, খুব বড় করে দিনটি পালন করবেন না এ বার। উপরন্তু তাঁর উপোস চলছে। এ ছাড়া
ফের অভিনয় জগতে ফিরছেন তিনি। দক্ষিণী সুপারস্টার প্রভাসের সঙ্গে ‘রাধে শ্যাম’ এবং কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘থালাইভি’-তেও দেখা যাবে তাঁকে।