‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালকের নিরাপত্তার ঘনঘটা দেখে ভেসে এল বিদ্রুপ। সংগৃহীত
রাস্তায় হাঁটছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। সশস্ত্র নিরাপত্তা আধিকারিকরা তাঁকে ঘিরে আছেন সামনে-পিছনে। শুক্রবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই ভিডিয়ো। যেখানে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ পরিচালকের নিরাপত্তার ঘনঘটা দেখে বিদ্রুপ ভেসে আসে। কেউ কেউ ক্ষোভ উগরে বলেন, সাধারণের দেওয়া করের টাকা কী ভাবে অপব্যয় করছে দেশ— তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এটিই।
পাল্টা দিলেন বিবেকও। তাঁর বক্তব্য, একই করের টাকা যদি সন্ত্রাস দমনে ব্যবহৃত হত, তা হলে তিনিও ঝাড়া হাত-পায়ে রাস্তায় ঘুরতে পারতেন।
বছর শেষে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও বিতর্কের মুখে পড়েছিল বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। সকলেরই ঘুরেফিরে দাবি, ভ্রান্ত তথ্যের উপস্থাপনায় ভরা বিবেক পরিচালিত এই ছবি। বর্তমানে নতুন ছবি ‘দ্য ভ্যাক্সিন ওয়ার’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও আগের ছবি নিয়েই সমালোচনা শুনে যাচ্ছেন বিবেক।
Tax payers money is used here to combat religious terrorism. If this stops, I can also live freely. #Kashmir https://t.co/crBcPhJdnY pic.twitter.com/LSHXq53DAu
— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) December 24, 2022
প্রায়ই টুইটারযুদ্ধে তাঁর উদ্দেশে কাদা ছোড়াছুড়ি চলে। সম্প্রতি এক টুইটারব্যবহারকারী লিখেছিলেন, “খারাপ লাগে খুব, যখন দেখি আপনার মতো এক দেশদ্রোহীর পিছনে করদাতাদের কষ্টের টাকা নষ্ট হচ্ছে।”
এর জবাবেই বিবেক লেখেন, “করদাতাদের অর্থ ধর্মীয় সন্ত্রাস দমনে ব্যবহৃত হয়েছে। যদি সব কিছু থেমে যায়, আমিও শান্তিতে বাঁচতে পারি।”
শুক্রবার দেহরক্ষী নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর ভিডিয়ো পোস্ট করে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন বিবেক। লিখেছিলেন, “কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের গণহত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরার মাশুল দিতে হচ্ছে। হিন্দুপ্রধান দেশে এই হল মতপ্রকাশের অধিকারের নমুনা! যেন নিজের দেশেই কারাবন্দি।” তার পরই ফের বিদ্রুপের ঝড় নেটদুনিয়ায়।
সম্প্রতি অনুরাগ কাশ্যপের আক্রমণের মুখে পড়েও বিবেক ঘোষণা করেছিলেন, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ ব্যবহৃত যে কোনও তথ্য ভুল প্রমাণ করতে পারলে তিনি ছবি বানানো ছেড়ে দেবেন।