কেন অতীতে ‘গোমাংস’ খেয়েছিলেন, তা-ও জানিয়েছেন বিবেক।
‘কাশ্মীর ফাইলস’ ছবি পরিচালনা করে শিরোনামে এসেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। কাশ্মীরি হিন্দুদের অবস্থা জানিয়ে তৈরি এই ছবি যেমন প্রশংসা পেয়েছিল, তেমন বিতর্কও হয়েছিল ঢের। অভিযোগ উঠেছিল তথ্য বিকৃতির। মোদীর সরকারকে তোষণ করছেন বলেও আঙুল উঠেছিল। সেই বিবেকের অতীতের একটি সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাইরাল। সেই নিয়ে ফের বিতর্ক।
কী বলেছিলেন বিবেক সেই সাক্ষাৎকারে? বলেছিলেন, ‘‘অতীতে গোমাংস খেতাম। এখনও খাই।’’ আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। বিবেক দাবি করেছেন, ভিডিয়োটিতে কারচুপি হয়েছে। তিনি আসলে বলেছিলেন, ‘‘অতীতে গোমাংস খেতাম। এখন আর খাই না।’’ তাতেও থামছে না বিতর্ক।
প্রশ্ন উঠছে, যে বিবেক বিজেপি বা শাসক দলের ‘ঘনিষ্ঠ’, তিনি কীভাবে প্রকাশ্যে এ সব বলেন? পরিচালক অবশ্য অস্বীকার করেননি যে, তিনি অতীতে গোমাংস খেতেন। তাঁর কথায়, ‘‘কিছু লোক রয়েছেন, যাঁরা তোমাকে পছন্দ করেন না, তোমাকে নিয়ে ঠাট্টা করেন, তোমাকে অপমান করতে চান। আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি জানি, কোন খেলায় নেমেছি। সেই খেলার নিয়ম কী? এমন ভাবে বলা হচ্ছে, যেন আমি রোজ এক সময় গোমাংস খেতাম। ভারতে গোমাংস পাওয়া যায় না। ভারতে মোষের মাংস মেলে।’’
কেন অতীতে ‘গোমাংস’ খেয়েছিলেন, তা-ও জানিয়েছেন বিবেক। বলেছেন, ‘‘অল্প বয়সে সকলের মধ্যে একটা বিদ্রোহের বীজ লুকিয়ে থাকে। আমি কট্টর নিরামিশাষী পরিবারের। আমার মা পেঁয়াজ, রসুনও খেতেন না। লাউ খেতেন। যখন তুমি তরুণ, বিদ্রোহ করতে ইচ্ছা করবে। প্রথমে সিগারেট খাবে, তার পর মদ, তার পর বাইরে যাবে। একটা রেস্তরাঁ ছিল, যেখানে সকলে যেতেন। আমিও যেতাম। হয়তো সেখানে গিয়েই ও সব খেয়েছিলাম। ভারতের বাইরে গেলে বার্গারে যে মাংসই থাকুক, তুমি খেয়ে নেবে। এমন নয় যে গোমাংস অর্ডার করে তুমি মজা করে খাচ্ছ।’’