বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
এক সময়ের দাপুটে খলনায়ক। তবে বর্তমানে আর সে ভাবে পর্দায় তাঁর দেখা মেলে না। বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তাঁর সমীকরণ ঠিক কেমন? জানতে অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে কথার শুরু, কেমন আছেন? ফোনের ও প্রান্তের কণ্ঠে কি জরার ছাপ? একটু থেমে জবাব দিলেন, “একটুও ভাল নেই। সারা শরীরে ব্যথা। বয়স হলে যা হয়।”
এখনও পর্যন্ত বিপ্লবের শেষ কাজ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ় ‘দুর্গ রহস্য’। বড় পর্দায় তাঁর শেষ কাজ পাভেল পরিচালিত ‘অসুর’। ছবিতে বিপ্লবের দেখা মিলেছিল নুসরত জাহানের ‘বাবা’র চরিত্রে। দর্শক এবং সমালোচকদের মতে, অন্য ধরনের চরিত্রেও যে তিনি সাবলীল তা প্রমাণ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। কথা ফুরনোর আগেই তাঁর কণ্ঠে যেন অভিমানের ছোঁয়া! বললেন, “আপনি, আমি বা দর্শক বলার কে? ইন্ডাস্ট্রির সকলে যখন বলে দিয়েছেন আমি অভিনয় পারি না, তখন পারি না! এর বাইরে কোনও কথা নেই।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগে ৭৭টি বসন্ত ছুঁয়ে ফেললেন বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। এ বছরের জন্মদিনে তেমন বিশেষ আয়োজন ছিল না। স্ত্রী প্রতি দিন যা রাঁধেন তেমনই রেঁধেছেন। বিশেষ আয়োজন বলতে ইলিশ মাছ। বিপ্লবের কথায়, “বাজারে গিয়েছিলাম। দেখলাম, বড় সাইজ়ের ইলিশ এসেছে। একটা কিনে আনলাম।”
ইন্ডাস্ট্রি থেকে ফোন এসেছে? এ বার অল্প হাসি। জানালেন, জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একাধিক ফোন এসেছে ইন্ডাস্ট্রি থেকে। তবে আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন, কাজ সংক্রান্ত কোনও ফোন আসেনি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বললেন, “কাজের কোনও ফোন আসেনি।”একটু থেমে বললেন, “কেনই বা আসবে? গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানে আমি আর অভিনয় করতে পারি না। যে অভিনয় করতে পারে না তাকে কেউ ডাকে?”
ওটিটিতে কাজ করতে চাইবেন? প্রশ্ন শুনে বর্ষীয়ান অভিনেতা বললেন, “আমার কাছে সব মাধ্যমের সমান গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, প্রত্যেক মাধ্যমেই অভিনয় করতে হয়।” ডাক পেলে বিপ্লব কি খলনায়কের চরিত্র বেছে নেবেন, পুরনো দিনের মতো? জবাবে অভিনেতা জানালেন, আর খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবেন না। ‘প্রহার’ ছবিতে নানা পটেকর যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তেমন কোনও চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে রয়েছে। এমন কোনও চরিত্র যদি পান, তা হলেই অভিনয় করবেন। না হলে ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরেই থাকবেন।