মালাইকা অরোরা ও বরুণ ধওয়ান। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অঘটন মালাইকা অরোরার পরিবারে। সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেত্রী তথা মডেলের বাবা অনিল মেহতা। খবর পেয়েই আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মালাইকার প্রাক্তন স্বামী আরবাজ় খান। বাড়িতে ছিলেন না মালাইকা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুণে থেকে ছুটে আসেন তিনি। মালাইকার সঙ্গে দেখা করতে বলি পাড়ার অন্যান্য তারকারাও আসেন। কিন্তু এর মধ্যে একটি বিষয়ে চটে গেলেন বরুণ ধওয়ান।
মালাইকার বাবার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই বাড়ির সামনে জড়ো হন ছবিশিকারিরা। প্রতিটি মুহূর্ত তাঁরা ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বরুণ। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কী ভাবে ছবিশিকারিরা ছবি তুলছেন এবং ভিডিয়ো তৈরি করছেন! প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতা।
সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি লেখেন, “শোকাচ্ছন্ন মানুষের মুখে ক্যামেরা তাক করে ছবি তোলার মতো অসংবেদনশীল বিষয় আর কিছু হয় না। একটু ভাবুন, আপনারা কী করছেন! আপনি যাঁর ছবি তুলছেন, তাঁর মনের অবস্থাটা ভাবুন। আমি বুঝি, এটা আপনাদের কাজ। কিন্তু কিছু সময়ে মানুষের মনের অবস্থা ঠিক না-ও থাকতে পারে।”
এ দিন মালাইকার বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েই চলে আসেন সেলিম খান, সোহেল খান, করিনা কপূর খান, সইফ আলি খান, অর্জুন কপূর, অনন্যা পাণ্ডে-সহ আরও অনেকে।
মালাইকার যখন ১১ বছর বয়স, তখনই তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ভারতীয় নৌ-সেনায় কর্মরত ছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। দুই মেয়ে বিনোদন জগতের অন্যতম মুখ হলেও, নিজে প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করতেন মালাইকার বাবা। হিন্দু পঞ্জাবি পরিবারে জন্মেছিলেন অনিল অরোরা। ভারতের সীমান্তে ফজ়িলকায় তাঁর আদি বাড়ি। খ্রিস্ট মালয়ালি পরিবারের মহিলা জয়েস পলিক্র্যাপকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কয়েক বছর আগে ফের একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন মালাইকার বাবা ও মা। কী কারণে এমন চরম পদক্ষেপ করেছেন অনিল অরোরা, তা এখনও জানা যায়নি।