‘আমি উত্তম’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
মহানায়কের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাটক, ‘আমি উত্তম’। কিন্তু পরিবেশনায় কোনও নাটকের দল নয়, উত্তমকুমারের পরিবারের সদস্য, আত্মীয় আর প্রতিবেশীরা শামিল হয়েছিলেন। ১ ঘণ্টা ১২ মিনিটের এই নাটকে অভিনেতার জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। পেশাগত জীবন, তাঁর পছন্দ, অবসর যাপন এই নাটকের উপজীব্য। কিন্তু, মহানায়কের ব্যক্তিগত জীবনকে সচেতন ভাবেই বাদ দিয়েছেন তাঁরা। নাটকটি মঙ্গলবার শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মঞ্চস্থ হল রবীন্দ্র সদনে। নাটকে উত্তমকুমারকে তিন অবয়বে দেখা গিয়েছে। অভিনয় করেছেন যথাক্রমে, শিবপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অবিন্দম মুখোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শিবপদ সম্পর্কে উত্তমকুমারের নাতি।
মলিনা দেবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “আমরা ওঁর ব্যক্তিগত জীবনে একেবারে হাত দিইনি। ‘ওথেলো’র প্রসঙ্গ, ‘মাসিমা মালপো খামু’ ইত্যাদি বিখ্যাত ছবির কিছু দৃশ্য তুলে ধরেছি আমরা। ছবির বাইরের জীবনও দেখিয়েছি কিছুটা।” এছাড়াও অনুষ্ঠানে নৃত্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন মহানায়কের দুই নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায় এবং মৌমিতা চট্টোপাধ্যায়।
‘আমি উত্তম’ নাটকে নৃত্য পরিবেশন করেছেন উত্তমকুমারের নাতবৌ তথা অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। তাঁর কথায়, “উত্তমকুমারের গানের সঙ্গে নাচ করলাম। ভীষণ রকমের ভাললাগা রয়েছে। শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালাম। নাতবৌ এবং নৃত্যশিল্পী, দুই দিক দিয়েই বিশাল প্রাপ্তি আমার।”