University of North Bengal

অচলাবস্থা কাটছে বিশ্ববিদ্যালয়ে

ইতিমধ্যেই বিআরএস বৈঠকে গবেষণাপত্রগুলি অনুমোদন করে বহিরাগত পরীক্ষকদের কাছে পাঠানোর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement
সৌমিত্র কুন্ডু
শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০২
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

অবশেষে উচ্চ শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে উপাচার্যহীন অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হওয়া পরিস্থিতি কাটতে চলেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে ডিনকে চেয়ারম্যান করে ‘বোর্ড অব রিসার্চ স্টাডিজ়’-এর বৈঠক হল। পাশ করানো হল সম্মতির অপেক্ষায় পড়ে থাকা শতাধিক গবেষণাপত্র এবং নতুন গবেষণার কাজের জন্য প্রায় ২০০ রেজিস্ট্রেশন।

Advertisement

উপাচার্য ‘বোর্ড অব রিসার্চ স্টাডিজ়’-এর চেয়ারম্যান হন। উপাচার্যহীন অবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয় ডিনকে চেয়ারম্যান করে বৈঠক করে পড়ে থাকা কাজ এগিয়ে নিতে। এর পরে, গত শুক্রবার ওই বৈঠক হয়। জয়েন্ট রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতর হস্তক্ষেপ করে সম্মতি দেওয়ায় অনেক সমস্যার জট কাটতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বিআরএস বৈঠকে গবেষণাপত্রগুলি অনুমোদন করে বহিরাগত পরীক্ষকদের কাছে পাঠানোর পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্য অ্যাকাডেমিক সমস্যা এবং পদ ফাঁকা থাকায় কাজের সমস্যাও উচ্চ শিক্ষা দফতর মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে।’’

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় মাস ধরে উপাচার্যহীন থাকা এবং রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক, ডিন, অডিট অফিসার থেকে বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিকদের পদ হয় ফাঁকা বা অস্থায়ী ভাবে কাউকে চালাতে হওয়ায় বিপাকে পড়েন কর্তৃপক্ষ। গবেষণাপত্র এবং নতুন রেজিস্ট্রেশন সমস্ত থমকে পড়ে। উপাচার্য না আসা পর্যন্ত সমস্যা মেটাতে বারবার রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হচ্ছিল। যাতে ওই সমস্ত পদে আধিকারিক দেওয়া এবং শিক্ষাগত বিভিন্ন বিযয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্মতি দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যেই পরীক্ষা সমূহের নিয়মকের পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞদের মধ্যে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতরে ৬ জনের নাম প্রস্তাব করে পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগ এখন একজন ডিনই দেখছেন। তিনিও অস্থায়ী ভাবে এবং মেয়াদ ফুরনোর পর অতিরিক্ত সময়ের জন্য রয়েছেন। কলেজ সমূহের পরিদর্শক পদ ফাঁকা রয়েছে। অডিট অফিসার না থাকায় ফিনান্স অফিসার কোনও খরচ ছাড়তে পারছেন না। তাতে ল্যাবরেটরিগুলিতে সরঞ্জাম কেনা থেকে ওই সময় বিভিন্ন সেমিনার খরচের না মেলায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চললেও কিছু ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।

ছবি: স্বরূপ সরকার

Advertisement
আরও পড়ুন