Twarita Chatterjee

Twarita Chatterjee: ভরপেট খেয়েও কী করে ছিপছিপে থাকতেন উত্তমকুমার? খোলাখুলি জানালেন নাতবউ ত্বরিতা

অভিনেতাদের সব সময় মেপে খেতে হবে? সে কথা মানতে নারাজ ত্বরিতা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০৯
উত্তমকুমারের  কথা বললেন ত্বরিতা।

উত্তমকুমারের কথা বললেন ত্বরিতা।

ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবার। মহানায়ক উত্তমকুমারের বাড়ি। বাঙালির চোখে আজও সেই বাড়ির সদস্যরা স্বপ্নলোকের বাসিন্দা। সুযোগ পেলেই সবাই ঝাঁকিদর্শন দিতে চান বাড়ির অন্দরে। জানতে চান, বাড়ির কর্তা কেমন ছিলেন? এই তালিকায় আছেন খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। কিছু দিন আগেই এক প্রতিযোগিতার আসরে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি— এক জামবাটি মাংস খেয়েও কী করে মহানায়ক ছিপছিপে থাকতেন?

‘দাদা’র সেই কৌতূহল মেটালেন তরুণকুমারের নাতবউ ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। জানালেন, খাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও সমান মনোযোগী ছিলেন উত্তমকুমার। তাতেই এত তরতাজা থাকতেন তিনি। ত্বরিতা মহানায়কের ভাই তরুণকুমারের নাতি সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। বিয়ের আগে থেকেই চট্টোপাধ্যায় পরিবারে তাঁর যাতায়াত। বাড়ির আভিজাত্য, ঐতিহ্য সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনিও। পরিবারের বাকিদের থেকে অভিনেত্রী জেনেছেন, উত্তমকুমার, তরুণকুমার দু’জনেই খেতে ভালবাসতেন। কিন্তু শরীরচর্চার সময়ে দুই ভাই হাঁটতেন একেবারে উল্টো পথে।

Advertisement


সকালে মহানায়ক যখন মিন্টো পার্কে হাঁটতে যেতেন, ভবানীপুর থেকে শরীরচর্চার সরঞ্জাম গুছিয়ে বেরোতেন তরুণকুমারও। তার পরে চলে আসতেন ময়রা স্ট্রিটে। সেখানে আয়েশ করে সুপ্রিয়া দেবীর তৈরি জলখাবার খাচ্ছেন! নয়তো দাদার গাড়ির পিছনের সিটে শুয়ে অঘোরে ঘুমোচ্ছেন। ফল, নাদুসনুদুস চেহারা।

তা হলে কি অভিনেতাদের সব সময়ে মেপে খেতে হবে? ত্বরিতা সে কথা মানতে নারাজ। তিনি এবং সৌরভ নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। তবে কড়া ডায়েটও মানেন না। ত্বরিতার দাবি, ‘‘রোজের খাবারে ভাত-রুটি থাকা খুবই জরুরি। আজকের প্রজন্ম সে সব খেতে চায় না। একই সঙ্গে প্রোটিনও রাখতে হবে। তবেই ভারসাম্য থাকবে ডায়েটে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন