(বাঁ দিকে) কঙ্গনা রানাউত। দেবলীনা ভট্টাচার্য (ডান দিকে) ।। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড অভিনেত্রী তথা হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী থেকে সদ্যনির্বাচিত বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে চড় মেরেছেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কউর। ঘটনা নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম নেটদুনিয়া। নেটাগরিকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। একদল বলছেন কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপমানসূচক মন্তব্যের যোগ্য জবাব দিয়েছেন কুলবিন্দর। আর একদল প্রশ্ন তুলছেন, কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কি এই কাজ করা ঠিক হয়েছে কুলবিন্দরের? এ বার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন টেলি অভিনেত্রী দেবলীনা ভট্টাচার্য।
দেবলীনার মতে এই ঘটনা নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘন করেছে। সমাজমাধ্যমে দেবলীনা লিখেছেন, ‘‘বিমানবন্দরে তল্লাশির সময়ে কঙ্গনা ও নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা জেনে বেশ অবাক হয়েছি। এই ধরনের ঘটনায় জনগণের বিশ্বাসভঙ্গ হয় ও নিরাপত্তাবিধি লঙ্ঘিত হয়। কর্তব্যরত অবস্থায় একজন নিরাপত্তারক্ষী কখনওই তাঁর ব্যক্তিগত রাগের প্রকাশ করতে পারেন না। ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার এই ঘটনা দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’’
দেবলীনা এই ঘটনার নিন্দা করে আরও লেখেন, ‘‘এই নিরাপত্তারক্ষীর কাজকে সমর্থন করার অর্থ অপরাধ ও অবাঞ্ছিত হিংসাকে মান্যতা দেওয়া। এই ধরনের আচরণ ভয়ানক দৃষ্টান্ত তৈরি করে। ক্ষমতায় থাকলেই ব্যক্তিগত প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করার সুযোগ করে দেয় এই ধরনের দৃষ্টান্ত। আমাদের এক হয়ে এই ঘটনার নিন্দা করা উচিত।’’
এই ঘটনা যদি নিজেদের পরিবারের কোনও মানুষের সঙ্গে ঘটত, তা হলে কেমন লাগত? এই প্রশ্ন তুলেছেন দেবলীনা। অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘সুবিচারের জন্য সবাই এক হই, চলুন। নিরাপত্তাবাহিনীতে যেন কোনও ধরনের প্রভাব না থাকে, সে দিকে দেখতে হবে।’’
আরও একটি পোস্টে দেবলীনা লিখেছেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র একটি চড় নয়। এটা ভারতের নিরাপত্তার বিষয়। আমরা যা ভাবছি, তার চেয়ে অনেক ভয়ঙ্কর হতে পারে এই ধরনের আচরণ।’’
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে এসে উপস্থিত হন পুলিশ আধিকারিক (গোয়েন্দা বিভাগ) কেএস সন্ধু। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকের সঙ্গে তিনি এই ঘটনা নিয়ে আলোচনায় বসেন।
দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী। এর পরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সাসপেন্ডও করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্ত মহিলা দাবি করেন, কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। বিমানবন্দরে তাঁকে দেখে তাই তাঁর মাথাগরম হয়ে গিয়েছিল। তাই ইচ্ছা করেই কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন তিনি।