ঠাণের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন অভিনেতা শীজ়ান খান। —ফাইল চিত্র
রবিবার জেল থেকে বেরোলেন টেলিভিশন অভিনেতা শীজ়ান খান। তাঁরই সহকর্মী তথা প্রাক্তন প্রেমিকা, অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুরহস্যের কিনারা এখনও হয়নি। তবে পুলিশি হেফাজত থেকে নিষ্কৃতি পেলেন আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত শীজ়ান। তিন মাসের মাথায় তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে মহারাস্ট্রের আদালত। ৪ মার্চ ১ লক্ষ টাকার চুক্তিতে জামিন মিলেছে অভিনেতার। তাঁর পাসপোর্টও জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে শনিবার। দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর এখন। আপাতত ঠাণের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন শীজ়ান।
এক মাস আগেও মুম্বইয়ের হাই কোর্ট শীজ়ানের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি, মুম্বই পুলিশকে তুনিশা শর্মা মৃত্যু মামলার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তার পর হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে আদালতের তরফে কিছু জানা যায়নি।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে তুনিশাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন প্রেমিক তথা সহ-অভিনেতা শীজ়ান। তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে কি না, তা যাচাই না করে অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়, জানিয়ে দেয় বম্বে হাই কোর্ট। সেই মর্মেই অভিনেতার জামিনের আর্জি খারিজ করেছিল আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, অভিযুক্ত শীজ়ানকে সিঙ্গল বেঞ্চেও এই আর্জি জানানোর পরামর্শ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ৪ মার্চ নতুন খবর এল। শীজ়ানকে মুক্তি দেওয়ায় খুশি তাঁর পরিবার।
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় ‘আলি বাবা’ ধারাবাহিক-খ্যাত অভিনেত্রী তুনিশার। মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন শীজ়ান, তুনিশার মায়ের এই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ২৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয় অভিনেতাকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর মোবাইল ফোনও। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অসঙ্গতিপূর্ণ উত্তর দেওয়ায় শীজ়ানের উপর সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে তদন্তকারী আধিকারিকদের। তুনিশার সঙ্গে সম্পর্ক এবং সেটা ভেঙে যাওয়া নিয়েও এক এক বার এক এক রকম কারণ দর্শান শীজ়ান।
তার পরেই তুনিশার মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। ২৫ ডিসেম্বর থেকে পুলিশি হেফাজতেই ছিলেন শীজ়ান। যদিও তুনিশাকে নিজেদের পরিবারের এক জন বলেই ভাবতেন, দাবি শীজ়ানের মায়ের। তিনি আদালতে জানান, তুনিশার মৃত্যুতে তাঁর পুত্রের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।