Trina Saha

Trina Saha: দর্শক ‘সুপারম্যান’, ‘কৃশ’ দেখেন, এ দিকে ধারাবাহিকে দুটো বিয়েকে অবাস্তব বলেন: তৃণা

তৃণা মনে করেন, সদাহাস্যময় গুনগুনের জীবনে যে কোনও সমস্যা থাকতে পারে, এ কথা দর্শক মেনে নিতে পারছেন না।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ১৫:৪০
তৃণা সাহা।

তৃণা সাহা।

দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে ‘খড়কুটো’-র অনুরাগীমহল। কারণ গুনগুন। পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ভাশুরের স্ত্রী মিষ্টির সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে সাহায্য করেছিল সে। তাই জন্মের পর থেকেই একরত্তি মেয়েকে কাছ-ছাড়া করতে চাইছে না গুনগুন। আর তাতেই আপত্তি নতুন মা মিষ্টির। দুই জায়ের মন কষাকষির আঁচ টেলিভিশন পর্দা ভেদ করে চলে এসেছে নেটমাধ্যমেও।

নেটাগরিকদের একাংশ গুনগুনের এই আচরণকে ‘বাড়াবাড়ি’ হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, শুধুমাত্র জন্মের সময়ে পাশে ছিল বলেই মায়ের থেকে সন্তানকে আলাদা করার অধিকার তার নেই। আবার কয়েক জনের পাল্টা যুক্তি, শৈশব থেকে মায়ের সান্নিধ্য পায়নি গুনগুন। তাই মিষ্টির মেয়েকে কাছে পেয়ে নিজের আবেগে লাগাম টানতে পারছে না সে।

কিন্তু যাঁকে নিয়ে এত চর্চা, সেই ‘গুনগুন’ অর্থাৎ তৃণা সাহা কী বলছেন? গুনগুনকে নিয়ে দর্শকদের অবিরাম চর্চাকে কেমন ভাবে দেখছেন তিনি? আনন্দবাজার অনলাইনের পক্ষ থেকে তৃণাকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি আসলে এই নিয়ে কিছুই ভেবে দেখিনি। আমি একজন অভিনেত্রী। আমাকে পরিচালক যা করতে বলবেন, আমি করব। এ ক্ষেত্রেও যে ভাবে চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে, আমি সে ভাবেই অভিনয় করছি।”

Advertisement
গুনগুনকে নিয়ে নানা জনের নানা মত।

গুনগুনকে নিয়ে নানা জনের নানা মত।

২০১৬ সালে ‘খোকাবাবু’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে ছোটপর্দায় আত্মপ্রকাশ তৃণার। এর পর তালিকায় জুড়ে যায় ‘কলের বউ’ এবং ‘খড়কুটো’। কিন্তু পর্দার চরিত্র নিয়ে এত সমালোচনা আগে হয়েছে বলে মনে করতে পারেন না ‘গুনগুন’। তৃণা অবশ্য গোটা বিষয়টিকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন। তাঁর কথায়, “অনেকেই বলেন, অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের যে রাগিয়ে দিতে পারে, সে খুব ভাল অভিনেত্রী। আমি নিজেকে অত ভাল অভিনেত্রী মনে করি না। কিন্তু সবাই যে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলছে, সেটা দেখে খুব ভাল লাগছে।”

কিন্তু দর্শকদের এত চর্চা, সমালোচনার পরেও টিআরপি তালিকায় ক্রমশ পিছোচ্ছে এক সময়ে টানা শীর্ষস্থানে থাকা ‘খড়কুটো’। এমন আচমকা হেরফেরের কারণ কী? খানিক থেমে তৃণা বললেন, “টিআরপি নিয়ে আমি এখন আর ভাবি না। মানুষ কখন কী পছন্দ করবেন, তা বোঝা মুশকিল। তাই এ সব নিয়ে না ভেবে, নিজের কাজ করলেই মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।”

তৃণা মনে করেন, সদাহাস্যময় গুনগুনের জীবনে যে কোনও সমস্যা থাকতে পারে, এ কথা দর্শক মেনে নিতে পারছেন না। বাংলা ধারাবাহিকের গল্পের সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকলে দর্শকের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় বলে অভিমত তাঁর। “মানুষ টাকা খরচ করে ‘সুপারম্যান’, ‘কৃশ’ দেখতে পারে। যেগুলোর সঙ্গে বাস্তবের আদৌ কোনও মিল নেই। অথচ ধারাবাহিকের কারও দুটো বিয়ে দেখলে হাসাহাসি করে! অবাস্তব বলে। কেন বলুন তো?” প্রশ্ন করলেন তৃণা।

আপাতত ধারাবাহিকের নতুন মোড়ে মন দিয়েছেন ‘গুনগুন’। কে কী বলল তা নিয়ে ভাবতে চান না তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement