Bollywood Actress

সাঁতার জানতেন না, ঋষির সঙ্গে জলে নেমে ডুবে যাচ্ছিলেন সোনম! সবাই ভাবলেন শুটিং চলছে

শুটিং চলাকালীন পুলের গভীর জলে পড়ে যান, জীবন সংশয় হয় তাঁর। যদিও আশপাশের কেউ বুঝতে পারেননি শুরুতে। ভাবছিলেন শুটিংয়ের দৃশ্যেই অভিনয় করছেন সোনম।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ১৯:৪৪
Tridev actor Sonam Khan

অভিনেত্রী সোনম খান। ছবি: সংগৃহীত।

আশির দশকে বলিউডে অভিনয় করতে এসেছিলেন সোনম খান। ‘ত্রিদেব’, ‘বিশ্বাত্মা’, ‘বিজয়’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে, খুব অল্প বয়সেই বিয়ে করে সংসারী হয়ে ছবির জগৎ থেকে বিদায় নেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সোনম জানালেন, ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বিজয়’ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে কী সাংঘাতিক ঘটনাই না ঘটাতে চলেছিলেন! যশ চোপড়া না-থাকলে মারা পড়তেন।

Advertisement

ছবিতে চরিত্রের প্রয়োজনে সাঁতার কাটতে হত। পরিচালক যশ চোপড়া তখন যুবক। সোনমকে তিনি বার বার বলেছিলেন সাঁতার শিখে নিতে। কিন্তু ‘হাইড্রোফোবিয়া’ অর্থাৎ জলে ভয় থাকায় শিখতে পারেননি সোনম।

এক দিন শুটিং চলাকালীন পুলের গভীর জলে পড়ে যান, জীবন সংশয় হয় তাঁর। যদিও আশপাশের কেউ বুঝতে পারেননি শুরুতে। ভাবছিলেন শুটিংয়ের দৃশ্যেই অভিনয় করছেন সোনম।

অভিনেত্রীর কথায়, “জলে ভয় ছিল আমার। যশজি বলেছিলেন জলে শট দিতে হবে, তাই সাঁতার শিখে নিই যেন। জুহুর হরাইজন হোটেলে গিয়েছিলাম, কিন্তু সাঁতারের প্রশিক্ষক আমায় একেবারে জলে ছুড়ে ফেলে দিলেন। আরও বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। শেখা হয়নি।”

কিন্তু ছবিতে ঋষি কপূরের সঙ্গে জলে ঝাঁপ দিতে হয়েছিল তাঁকে। বেঙ্গালুরুর উইন্ডসর ম্যানোর-এ দৃশ্যটার শুটিং হচ্ছিল। সোনমের দাবি, “আমি যশজিকে বলেছিলাম, সাঁতার শেখা হয়নি আমার। কিন্তু শুটিং যখন শুরু হল, কী ভাবে যেন গভীর জলে পড়ে গেলাম। ঋষিজিকে ধরে টানতে আরম্ভ করেছিলাম। ভেবেছিলাম আজই জীবনের শেষ দিন। হঠাৎ দেখলাম জামা-জুতো পরেই কে একজন জলে ঝাঁপ দিল। দেখলাম, তিনি আদিত্য চোপড়া। ওখানে বাকি যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন শুটিং হচ্ছে বোধ হয়। আদিত্যই একমাত্র বুঝতে পেরেছিলেন আমার অবস্থাটা।”

কিছু ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সোনম, আবার ‘ত্রিদেব’-এর মতো ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের মতো তারকার সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন। ‘বিশ্বাত্মা’-তে সহ-অভিনেত্রী ছিলেন দিব্যা ভারতী।

সোনম জানান, চলচ্চিত্র জগতে কেউ বন্ধু ছিলেন না তাঁর, সকলেই ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। তাঁর কথায়, “সবাই তো প্রতিযোগী। বন্ধু হব কী করে? দিব্যার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল, তখন অবশ্য সবাই জানত, আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিচ্ছি। সতেরো বছর বয়সেই বিয়ের কথা ঘোষণা করেছিলাম। জানিয়েছিলাম, আর নতুন ছবির চুক্তিতে সই করব না।” এক বছরের মধ্যেই সব গুটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সোনমের দাবি, তেমন বন্ধু কেউই ছিলেন না তাঁর, এখনও নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement