(বাঁ দিক থেকে) সোহম চক্রবর্তী, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং জীতু কমল। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার আচমকাই একটি পোস্ট করেন অভিনেতা জীতু কমল । এমএন রাজ পরিচালিত ‘এম ১৬’ ছবিটির সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই যুক্ত নন, এ কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন নায়ক। তার পর থেকে টলিপাড়ার অন্দরে গুঞ্জন, নায়ক নাকি সোহম চক্রবর্তী এবং অপূর্বর কারণে হীনম্মন্যতায় ভুগছিলেন বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রযোজনা সংস্থা ‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স’-এর তরফে এ বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে আগে এই সংস্থা সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ শোনা গিয়েছিল। কিন্তু, জীতুর ক্ষেত্রে কী ঘটেছে?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, “আমার অনুমতি ছাড়াই ওরা আমার মুখ ব্যবহার করেছে। যে পোস্টারটা দেখা যাচ্ছে, সেই শুটটা আমি করিইনি। মুখটা খালি আমার বসানো হয়েছে। আমার সঙ্গে কোনও চুক্তিই হয়নি। তা ছাড়া, শুটিংয়ের তারিখ খালি পরিবর্তিত হয়েই চলেছিল। আর চিত্রনাট্য ছিল খুবই দুর্বল। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম কাজটা না করার। এখানে নিরাপত্তাহীনতার কোনও জায়গা নেই।”
অন্য দিকে প্রযোজক রক্তিম চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। রক্তিম বললেন, “জীতু আমার বন্ধু ছিল, আছে, থাকবেও। আমি এই ছবিটা ইদে রিলিজ় করবই। সোহম, অপূর্ব— কেউই অভিনয় করছেন না। নতুন মুখকে নিয়ে কাজটা আমি শেষ করবই। আর জীতুর সহকারী আমায় জানিয়েছিলেন যে, ডেটের সমস্যা। বাকি আর কী সমস্যা হয়েছে, সেটা পরিচালকই বলতে পারবেন। তবে এই ছবি বন্ধ হবে না। ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে শুটিং।”
এই প্রথম নয়, অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ‘নেক্সজেন ভেঞ্চার্স’-এর কর্ণধার। যদি এই ছবি মুক্তি পায়, তা হলে অঙ্কুশের প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘মির্জা’র সঙ্গেই প্রতিযোগিতা করবে ‘এম ১৬’।