(বাঁ দিকে)মেয়ে রেনের সঙ্গে সুস্মিতা সেন। (ডান দিকে) অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
২০০০ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে কন্যাসন্তানের মা হন সুস্মিতা সেন। মেয়ে রেনে সেন। বরাবরই ছকভাঙা সুস্মিতা। গতানুগতিক ধ্যানধারণার বিপরীতেই হেঁটেছেন। ‘সিঙ্গল’ হয়েই দুই সন্তান দত্তক নিয়ে অনেক ছোট বয়সেই মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছেন সুস্মিতা। তেমনই মাতৃত্বের অনেক কঠিন রাস্তাও পার করতে হয়েছে একা। এই মুহূর্তে বড় মেয়ে রেনের বয়স ২৩। তবে এক সময় মেয়ের জন্য নিজের কেরিয়ারের কথা ভুলে আত্মত্যাগ করেন সুস্মিতা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের মা হওয়ার কঠিন লড়াইয়ের কথাই জানালেন প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী।
খুব ছোট বয়সেই ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হন রেনে। সেই সময় কানাডায় অক্ষয় কুমার ও করিনা কপূরের সঙ্গে একটি বড় বাজেটের ছবির শুটিং করছেন সুস্মিতা। মাঝপথেই শুটিং ছেড়ে ভারতে ফিরতে হয়। সেই সময় সুস্মিতা ভাবেন, এখানেই তাঁর কেরিয়ারের শেষ। আর হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না। আসলে রেনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল তখন। প্রায় জীবন নিয়ে টানাটানি। অভিনেত্রীর বাবা তাঁকে খবর দেন, মেয়ের অবস্থা সঙ্কটজনক। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে তাঁকে। মেয়ের এমন অসুস্থতার খবর শুনে কেরিয়ারের কথা না ভেবেই সব ছেড়ে চলে আসেন দেশে।
সুস্মিতার কথায়, ‘‘রেনের সেই সময় আমাকে দরকার ছিল। ও যখন আমার জীবনে আসে, ভীষণ ভুগত। জটিল কিছু রোগ ছিল। এ দিকে আমি কানাডায় শুটে। একাধিক তারকা নিয়ে ছবি। সকলের তারিখ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু মেয়ে অসুস্থ খবর পেয়ে আমাকে চলে আসতে হয়। তখন মনে হয়েছিল, এটাই আমার কেরিয়ারের শেষ। কেউ খারাপ ব্যবহার করেননি, এ কথাও ঠিক। আমি এক সপ্তাহের জন্য মেয়ের কাছে ছিলাম। তার পর যখন শুটিং করতে প্রস্তত হয়েছি, যা ক্ষতি হওয়ার তত ক্ষণে হয়ে গিয়েছিল। লোকে বলাবলি করত, ২৪ বছরে মা হয়ে গিয়েছে। আর নিজের কেরিয়ারকে গুরুত্ব দেবে না। তাদের কাছে আমায় প্রমাণ রাখতেই প্রচণ্ড খেটে মা এবং অভিনেত্রীর যৌথ দায়িত্ব পালন করেছি।’’
সদ্য মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রীর ‘তালি’ সিরিজ়টি। সেখানে তাঁকে দেখা গিয়েছে রূপান্তরকামী নারী গৌরী শিন্ডের চরিত্রে। গৌরীর চরিত্রে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। দর্শক মহলে প্রশংসিত হয়েছে তাঁর অভিনয়। এ ছাড়াও তিনি সদ্য শেষ করেছেন ‘আরিয়া ৩’ সিরিজের শুটিং।