সুস্মিতা সেন-ললিত মোদী।
২০২২ সালের জুলাই মাসে বোম পড়ার মতো একটি খবর আসে। সুস্মিতা সেনের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি দেন শিল্পপতি ললিত মোদী। ললিত সরাসরি ‘জীবনসঙ্গিনী’র তকমা দিয়ে বসেন সুস্মিতাকে। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। পরে যদিও ললিত মোদীর ওই পোস্ট নিয়ে লম্বা একটি পোস্ট দেন সুস্মিতা নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায়। তবে এ যাবতীয় বিতর্ক, হাজারও কটাক্ষের উত্তর দিলেন ‘তালি’র অভিনেত্রী। এই ঘটনার বছরখানেক পর অবশেষে নিজেকে ‘সিঙ্গল’ বলেই ঘোষণা করলেন সুস্মিতা।
শিল্পপতি ও প্রাক্তন আইপিএল কর্তার সঙ্গে অভিনেত্রী একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ফাঁস হতেই ধেয়ে আসে কটাক্ষ। সমাজমাধ্যমে রীতিমতো হেনস্থা হতে হয় তাঁকে। রাতারাতি ‘গোল্ড ডিগার’ (টাকার লোভী)-এর তকমা জোটে সুস্মিতার কপালে। যদিও সেই সময় সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ না খোলেননি সুস্মিতা। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিন্দকদের কড়া জবাব দিলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এটা ভাল লাগে যে ‘গোল্ড ডিগার’ শব্দের যথার্থ ব্যবহার করা গিয়েছে আমায় দিয়ে।’’
তিনি খানিক কটাক্ষে সুরেই বলেন, ‘‘একটা অপমান তখনই অপমান হয়, যদি তুমি তা গ্রহণ করো। না নিলে জানলা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কিছু বিষয়ে কথা বলার অধিকার কারও নেই। আমি ভীষণ ভাবে ‘সিঙ্গল’। যদিও সেটা জানা, না জানা কারও এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।’’
ললিত মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘যখন সত্যি আমি বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাইলাম, এক দীর্ঘ পোস্ট করলাম, তখন আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেন, ‘সুস্মিতা তো এমন নয়! আমরা তোমায় চিনি, তোমার এই বিষয় কিছু বলারই প্রয়োজন ছিল না।’ আসলে আমি এমন ভাবে বেড়ে উঠিনি যে কোনও সমস্যা হলেই সমাজমাধ্যমে সব উগরে দেব। আমি সময় নিয়ে বোঝার চেষ্টা করি, তার পর কোনও মন্তব্য করি।’’
৪৭-এ এসে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন সুস্মিতা। দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরছেন পর্দায়। খুব শীঘ্রই ‘তালি’ ছবিতে রূপান্তরকামী নারী গৌরী শিন্ডের চরিত্রে দেখা যাবে সুস্মিতাকে।