অভিনেত্রী সানি লিওন। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে অন্যতম চর্চিত ব্যক্তিত্ব তিনি। তাঁর পেশাগত জীবনের থেকে বেশি চর্চা তাঁর অতীত জীবন নিয়ে। পেশাদার জীবনের অনেকটা সময় প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন জগতে কাটিয়েছেন সানি লিওন। জন্মসূত্রে কানাডার শিখ পরিবারের সন্তান তিনি, নাম ছিল করণজিৎ কৌর। সে মেয়েই বড় হয়ে পা রাখেন প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনের দুনিয়ায়। তার পরে বলিউডের স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে পা রাখেন সানি। ‘বিগ বস’ রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। তার পরে অভিনয় করেছেন একাধিক বলিউড ছবিতেও। তবে যশরাজ ফিল্মস বা ধর্ম প্রোডাকশন্সের মতো বলিউডের তাবড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এখনও কাজ করা হয়ে ওঠেনি সানির। অথচ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সানি জানান, যশরাজ ও ধর্ম প্রোডাকশন্সের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাজ করে ফেলেছেন তিনি। কেন এমন দাবি করলেন তিনি?
বলিউডে পা রাখার আগে আমেরিকায় প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন জগতের অন্যতম সফল পেশাদার ছিলেন সানি। দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন সেই দুনিয়ায়। ওই ইন্ডাস্ট্রির তাবড় সব সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সময় সানি জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদন জগতে ‘যশরাজ ফিল্মস’, ‘ধর্ম প্রোডাকশন্স’-এর সমতুল্য প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সানি বলেন, ‘‘আমি আমেরিকায় ‘ভিভিড’, ‘পেন্টহাউস’-এর মতো কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছি। সব চুক্তিপত্র ভাল ভাবে খুঁটিয়ে দেখে তবেই আমি সই করতাম। আগে থেকেই জেনে, বুঝে নিতাম, সংস্থাগুলি আমার কাছ থেকে ঠিক কী চাইছে। আমিই বা তাদের কাছ থেকে কী পাচ্ছি। আমি কখনওই কাউকে আমাকে ব্যবহার করার বা আমার কাছ থেকে বাড়তি কোনও সুবিধা আদায় করে নেওয়ার সুযোগ করে দিইনি।’’
বড় হয়ে নার্স হবেন, ছোটবেলায় এমন ইচ্ছাই ছিল সানির। স্কুলে পড়াকালীন ছেলে বন্ধুদের কাছে তেমন পাত্তাও পেতেন না তিনি। তার পরে হঠাৎই প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনের জগতে পা রাখেন সানি। সেখানে দীর্ঘ দিন কাজ করার পরে মুম্বইয়ে আসেন। ২০১২ সালে ‘জিসম ২’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক তাঁর। তার পরে এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন সানি। চলতি বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল তাঁদের ছবি ‘কেনেডি’। খুব শীঘ্রই ভারতে মুক্তি চলেছে এই ছবি।