বহু যুগ পরে ভালবাসার শহরে ফের সাদা-কালো প্রেমের ছবি।
অসন্তোষের অবসান। দ্বিতীয় সপ্তাহে নন্দনে শো পেল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘X=প্রেম’। খুশি অনুরাগীরা। বহু যুগ পরে ভালবাসার শহরে ফের সাদা-কালো প্রেমের ছবি।
আনন্দবাজার অনলাইনকে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক জানিয়েছিলেন, কলেজপড়ুয়াদের জন্যই এই ছবিটি তিনি বানিয়েছেন। তাঁরাই এই ছবির দর্শক। তাই তাঁদের জন্য ছবিটি নন্দনে মুক্তি পাওয়া দরকার। কারণ, মাল্টিপ্লেক্সে টিকিট কেটে ছবি দেখার সামর্থ্য সাধারণত পড়ুয়াদের থাকে না। যুদ্ধজয়ের পরে কী অনুভূতি পরিচালকের? সৃজিত বিষয়টি নিয়ে কিছু বলেননি।
গত ৩ জুন সৃজিতের ছবির পাশাপাশি মুক্তি পেয়েছিল রাজ চক্রবর্তীর ‘হাবজি গাবজি’। তার আগে নন্দনে শো পাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন দু’জনেই। ‘হাবজি গাবজি’ নন্দনে জায়গা পায়। কিন্তু শো পায়নি ‘X=প্রেম’। টুইটারে সেই ক্ষোভ উগরে দেন পরিচালক। লিখেছিলেন, ‘একই দিনে মুক্তি পেতে চলেছে দু’টি ছবি। দু’জনেই নন্দন ১-এর জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু মাত্র এক জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। আদর্শগত এবং ন্যায়সম্মত ভাবে হয় দু’টি ছবিই ছাড়পত্র পাওয়ার কথা, নয়তো কেউ পাবে না। এটা কেন হল? কারণ, যদিও সব ছবিই সমান, তবু কিছু ছবি অন্যদের তুলনায় বেশিই সমান।’
সেই সময়ে সৃজিত আনন্দবাজার অনলাইনকে আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর নতুন ছবি কলেজপড়ুয়াদের প্রেমের কাহিনি। ছবিটিকে সেন্সর বোর্ড ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ ছাড়পত্র দিয়েছে। তাই স্টার থিয়েটার-সহ একাধিক প্রেক্ষাগৃহ ছবি দেখাতে পারছে না। তাঁর ছবির দর্শকসংখ্যা যেহেতু একটি নির্দিষ্ট বয়সে আটকে, তাই তিনি সরকারি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটির প্রদর্শন চেয়েছেন। নন্দন কি তা হলে সাময়িক সৃজিত-রাজের মনোমালিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল? সৃজিতের সাফ জবাব ছিল, ‘‘রাজের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। এই ঘটনার পরেও থাকবে না। শুভশ্রী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আমার প্রিয় জন। ওঁরা রাজের ‘হাবজি গাবজি’-তে অভিনয় করেছেন। দু’জনকেই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’’
সব বিবাদ শেষ হয়ে শহরে এখন প্রেমের মরসুম। তবে ‘X= প্রেম’-এর ভাগ্য খুললেও এখনও অবশ্য নন্দনে জায়গা পায়নি অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’। দেশে-বিদেশে বন্দিত হলেও সরকারি প্রেক্ষাগৃহে ‘ব্রাত্য’ই রয়ে গিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্যকাহিনি নিয়ে তৈরি এই ছবিটি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।