Kanchan Mullick-Sreemoyee Chattoraj

কাঞ্চন বলেছিল, ২৭ বছর বয়সে মা হবি? আর একটু সময় নে: রাস পূর্ণিমায় আনন্দ-আঁতুড় থেকে শ্রীময়ী

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঘুমোতেই পারেননি তিনি। নয় মাস বাদেও বদলায়নি কিছু। শুধু এখন মেয়ে চোখের সামনে। কৃষভির জন্মের পরের দিনগুলো কেমন কাটছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১০
Sreemoyee Chattoraj reveals Kanchan Mullick suggested her to take time regarding pregnancy in early age

কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। ছবি: সংগৃহীত।

আজকাল রাতে ঘুম হচ্ছে না শ্রীময়ী চট্টরাজের। সারা রাত মেয়ে কৃষভির সঙ্গে জেগেই কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। কখনও তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়লে মেয়েকে কোলে নিয়ে রাত জাগছেন বাবা কাঞ্চন মল্লিকও। যদিও শ্রীময়ীর রাত জাগা শুরু হয়েছিল মেয়ে গর্ভে থাকাকালীন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ঘুমোতেই পারেননি তিনি। নয় মাস বাদেও বদলায়নি কিছু। শুধু এখন মেয়ে চোখের সামনে। ঘুম নেই, বিনিদ্র রজনী, তবে ক্লান্তি নেই। কারণ মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নাকি শ্রীময়ীর নিজেরই। কাঞ্চন বারণ করেছিলেন স্ত্রীর বয়সের কথা ভেবে। শ্রীময়ীর কথায়, ‘‘কাঞ্চন বলেছিল, ২৭ বছর বয়সে মা হবি? আর একটু সময় নে। কিন্তু আমি আর সময় নষ্ট করতে চাইনি। এত একসঙ্গে আমরা ঘুরেছি, সময় কাটিয়েছি, বাড়িতে একা কাটিয়েছি। এ বার তিন জনে একসঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিলাম।’’ তবে ঘুমোতে না পারার কষ্ট নেই, বরং মেয়েই যেন সারা বাড়ি মাতিয়ে রেখেছে। আনন্দের আবেশ এখন মল্লিক বাড়িতে।

Advertisement
Sreemoyee Chattoraj reveals Kanchan Mullick suggested her to take time regarding pregnancy in early age

কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বাড়ির রাস পূর্ণিমার পুজোর ছবি। —নিজস্ব চিত্র।

দোল পূর্ণিমায় প্রথম বুঝতে পারেন, তিনি মা হতে চলেছেন। তার পর অনেকগুলো মাসের সফর। দীপাবলির দিন, বলা ভাল শাহরুখের জন্মদিনে ভূমিষ্ঠ হল তাঁদের কন্যাসন্তান। যদিও শ্রীময়ী ভেবেছিলেন, স্বামী কাঞ্চনের বাবার জন্মদিন ১৭ নভেম্বরেই সন্তান আসবে। শ্রীময়ী বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম শ্বশুরমশাইয়ের জন্মদিনেই সন্তান আসবে। সেই মতো তারিখ ঠিক করা হয়। কিন্তু ও অনেকটা বড়সড় হয়ে গিয়েছিল। কালীপুজোর দিন সকালেও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে দুপুরের দিক থেকে প্রায় নড়াচড়া বন্ধ হতেই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’’

মেয়ে জন্মের পর প্রথম রাস পূর্ণিমা। কিন্তু আঁতুড় থাকায় এখনও ঠাকুরের আসন ছুঁতে পারছেন না শ্রীময়ী। পুরোহিত এসেই পুজোর বন্দোবস্ত করেছেন। মেয়ে এখন একরত্তি, তাই তেমন সাজগোজ নয়, বরং নিত্যদিন নতুন জামা পরছে সে। কোলে তুললেই ঠেলে উঠে যাচ্ছে। স্বভাব নাকি একেবারে বাবার মতো। শ্রীময়ী জানান, মেয়েকে দেখতেও নাকি বাবার মতো হয়েছে। বড্ড ছটফটে। মেয়ের গায়ের রং গোলাপি, গালগুলো লাল। তাই বাবা নাম দিয়েছেন টমেটো, কখনও আবার ডাকেন সোনামা নামে। তবে সারা রাত জেগে সকালে ফের কাজে বেরোচ্ছেন কাঞ্চন, এক ফোঁটা ক্লান্তি নেই। তবে অনুযোগ রয়েছে স্ত্রী শ্রীময়ীর কণ্ঠে, ‘‘আমি যখন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রাত জেগে থাকতাম আমার মাকে এসে থাকতে বলত। এখন মেয়ের জন্য জাগতে কোনও কষ্ট নেই তাঁর। একটাই কথা, মেয়ে তো আদরের। আমি বলি, বৌ কি নয়!’’

আরও পড়ুন
Advertisement