Kanchan Mullick-Sreemoyee Chattoraj

‘ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সময় দিতে পারছে না কাঞ্চন, গণেশের কাছে কী চাইব!’ বললেন শ্রীময়ী

কিছু দিন আগেই জন্মাষ্টমীতে গোপালের পুজো করেছেন তারকা জুটি। ঈশ্বরের কাছে পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে আশীর্বাদ চাইছেন না?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২২
Sreemoyee Chattoraj and Kanchan Mullick shared their planning for Ganesh Chaturthi

কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজের বাড়িতে গণেশপুজো। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের পরে প্রথম গণেশ চতুর্থী কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের। সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। তবে লোকবলের অভাবে গণেশ মূর্তি কেনা থেকে ভোগ রান্না— একা হাতেই পুজোর সমস্ত জোগাড় সেরেছেন শ্রীময়ী, পুজোর মাঝেই আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন তিনি।

Advertisement

গত পাঁচ বছর ধরে কাঞ্চনের বাড়িতে গণেশপুজো হয়। শ্রীময়ী বলেন, “সকাল থেকে পুজো চলছে। কাঞ্চন হোমযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন। ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের আত্মীয়স্বজন আসবেন। খুব ঘরোয়া ভাবেই আয়োজন করা হয়েছে।”

গণেশের কাছে কী প্রার্থনা করেছেন, তা-ও জানালেন শ্রীময়ী। কাঞ্চন-পত্নীর কথায়, “একটা সুস্থ পৃথিবী চাই যাতে, আমরা সকলে সুখে, শান্তিতে থাকতে পারি। সকলের মুখে যেন হাসি থাকে। কাউকে যেন চোখের জল ফেলতে না হয়। সবাই যেন সপরিবার সুস্থ থাকতে পারে।”

কিছু দিন আগেই জন্মাষ্টমীতে গোপালের পুজোও করেছেন তারকা জুটি। ঈশ্বরের কাছে পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে কোনও আশীর্বাদ চাইছেন না? এই প্রসঙ্গ উঠতেই শ্রীময়ী জানান, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করার জন্য কাঞ্চন নাকি সময় দিতেই পারছেন না। অভিনেত্রীর কথায়, “ঈশ্বরের কাছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য কিছু চাইছি না। কারণ, এর জন্য তো কাঞ্চনকে কিছুটা সময় দিতে হবে। সেই সময়টাই আমরা বিয়ের পর থেকে পাইনি। আমাদের তো মধুচন্দ্রিমায় যাওয়া নিয়েও ডামাডোল হয়েছিল। ওর কাজ, প্রচার নিয়ে ব্যস্ততা সব মিলিয়ে সময় দিতে পারছিল না। কালও গণেশ মূর্তি আনতে আমি আর মা গিয়েছিলাম। কাঞ্চন যেতে পারেনি।”

শ্রীময়ী জানান, কাঞ্চন এই মুহূর্তে একটি ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। এ ছাড়া নিজের কাজকর্ম রয়েছে। শ্রীময়ী বলেন, “ও খুব ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় দুপুর দুটোয় আর ফেরে ভোর সাড়ে পাঁচটা-ছটায়।”

তবে পুজো নিয়ে একটি আক্ষেপ রয়েছে শ্রীময়ীর। পুরোহিত এত সকালে এসেছেন, তিনি নিজেই নাকি তৈরি হয়ে উঠতে পারেননি। অভিনেত্রীর কথায়, “এ বার আসলে মা-ও ভোগ রান্না করতে পারেনি। কাল রাতে মায়ের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যেতে হয়েছে। আর আমার বাড়িতে আগে এক বৈষ্ণব রাঁধুনি ছিলেন। তাঁর শরীর খারাপ বলে চলে গিয়েছেন। এ বার এক অল্পবয়সি রাঁধুনি এসেছেন। তেমন অভিজ্ঞ নন। তাই সবটা আমাকে নিজেকেই করতে হয়েছে। এই সব কাজের মাঝে নিজেই তৈরি হতে পারিনি।”

আরও পড়ুন
Advertisement