পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ার একাংশ মুম্বইয়ে কাজের জন্য মুখিয়ে থাকে। বিপরীতে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শক্তিশালী অভিনেতা একের পর এক কাজের প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিচ্ছেন! সমস্যা কোথায়? অভিনেতার কাছে প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন।
কয়েক বছর আগে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দর্শক হিন্দি ‘বব বিশ্বাস’ ছবিতে কালীদা চরিত্রে দেখেছেন। তার পর থেকে অভিনেতাকে নিয়ে বলিউডে কৌতূহল দানা বাঁধে। এ দিকে টলিপাড়ায় বিগত কয়েক বছরে দাপিয়ে অভিনয় করে চলেছেন পরান। খবর, গত কয়েক মাসে একাধিক হিন্দি ছবি এবং ওয়েব সিরিজ়ের প্রস্তাব নাকচ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। যার মধ্যে একটি ছবিতে নীনা গুপ্তের থাকার কথা। সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন রাখা হয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে। পরান বললেন, ‘‘এ বছর প্রচুর হিন্দি কাজের প্রস্তাব এসেছে। আমার আদর্শ থেকেই মুম্বইয়ে গিয়ে আমি কাজ করতে চাই না। আমি যা করব, বাংলায় থেকে বাংলার মানুষের জন্যই করব। এখানে আমি খুবই ভাল আছি।’’
বয়স যে তাঁর কাজের ক্ষেত্রে কোনও রকম বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, তা জোর গলায় স্বীকার করছেন পরান। কিন্তু বলিউডে কাজ করতেই হবে, এ রকম কোনও বাসনা তাঁর নেই। বললেন, ‘‘হিন্দি ছবির কাজ কলকাতা বা আশপাশে হলে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ, গোয়া— এ রকম দৌড়ে দৌড়ে শুটিং করতে পারব না। তাই রাজি হইনি।’’ ‘বব বিশ্বাস’ ছবির প্রস্তাব সম্পর্কিত মজার আখ্যান শোনালেন পরান। বললেন, ‘‘সুজয় (পরিচালক সুজয় ঘোষ) আমাকে প্রস্তাব দেওয়ার পর বলি যে, মুম্বই গিয়ে শুটিং করতে পারব না। তার পর ও জানাল, ছবির শুটিং হবে কলকাতায়। তাই রাজি হয়ে যাই।’’
বাংলায় সাহিত্য-নির্ভর ছবির সংখ্যা আরও বাড়লে খুশি হবেন পরান। জানালেন, অন্য ভাষার সাহিত্য-নির্ভর ছবি বাংলায় শুটিং হলে সেখানে অভিনয় করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। পরানের কথায়, ‘‘বাংলায় কত সম্পদ! আমাদের এখানে খুব ভাল ভাল পরিচালকেরা রয়েছেন। কুলাকুশলীরা রয়েছেন। চাইলেই অন্য ভাষার ছবি এখানে শুট করা যায়।’’
তবে নিজে মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করতে রাজি নন বলে, যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের প্রতি কোনও নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন না অভিনেতা। বরং তাঁদের আরও বেশি করে শুভেচ্ছা জানাতে চান তিনি। বললেন, ‘‘যাঁরা হিন্দিতে কাজ করছেন, তাঁদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র রাগ নেই। আমার তরফে তাঁদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।’’
এই মুহূর্তে ‘পরান যাহা চায়’ ছবির শুটিং করছেন অভিনেতা। সম্প্রতি ‘কীর্তন ২’ এবং ‘পাটুলিগঞ্জের পুতুল খেলা’ এবং ‘টেক্কা’র শুটিং শেষ করেছেন। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিনেতার প্রবল ব্যস্ততা।