‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির বিতর্কিত তথ্য নিয়ে মুখ খুললেন দক্ষিণী তারকা কমল হাসন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মুক্তির মাস ঘুরলেও এখনও পর্যন্ত চর্চায় চলতি বছরের অন্যতম বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। মুক্তির আগে থেকেই একের পর এক বিতর্কের শিকার বাঙালি পরিচালকের এই ছবি। বিতর্কিত এই ছবি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খুলেছেন বলিউড পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ থেকে অভিনেতা নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকির মতো একাধিক ব্যক্তিত্ব। ছবির উদ্দেশ্য নিয়ে সরব হয়েছেন দক্ষিণী তারকা কমল হাসনও। সপ্তাহ খানেক আগে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে একটি প্ররোচনামূলক ছবি বলে দাবি করেন কমল। এ বার ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করা নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’র প্রথম প্রচার ঝলকে দাবি করা হয়েছিল, কেরালার ৩২ হাজার নারীকে নাকি জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। ছবির প্রচার ঝলক মুক্তি পাওয়ার পরে এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলাও হয়। ছবির নির্মাতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা ওই সংখ্যা বদলে দেবেন। সেই মতো ছবির পরের প্রচার ঝলকে দাবি করা হয়, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ আদপে ৩ নারীর গল্প। এ বার ছবির ওই তথ্য নিয়ে সরব হলেন দক্ষিণী তারকা কমল হাসন। সম্প্রতি সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কমল জানান, শুধুমাত্র দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ছবিতে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করা ঠিক নয়। তবে ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে অন্য সুর কমল হাসনের গলায়। দক্ষিণী তারকার মতে, কোনও ছবির প্রদর্শনের উপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত নয়। বরং ছবি দেখে মানুষের বোঝা উচিত, কোন ঘটনা আদপে সত্য, এবং ছবির আসল উদ্দেশ্য কী।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কমল হাসনকে। তখন তিনি জানান, কোনও ছবির নামের নীচে ‘সত্য ঘটনা’ লিখে দিলেই সেটাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করে দেওয়া যায় না। অভিনেতার কথায়, ‘‘আমি প্ররোচনামূলক ছবির বিরুদ্ধে। কোনও ছবির নামের নীচে ‘সত্য ঘটনা’ লিখে দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। সেই ঘটনা আদপে ঘটে থাকলে তবে তা সত্য। আর এখানে যা দেখানো হয়েছে, তা সত্য নয়।’’ কমলের কথায় স্পষ্ট, সুদীপ্ত সেনকে ছবির চিত্রনাট্য ও তথ্যের সঙ্গে একেবারেই সহমত নন তিনি। তবে কমলের মতে, ছবির নেপথ্যের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র মতো ছবি দেখা উচিত।
এর আগে তামিলনাড়ুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল কমল হাসনের ছবি ‘বিশ্বরূপম’ প্রদর্শনের উপরে। সেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অবশেষে তামিলনাড়ু সরকারের বিরুদ্ধে মামলা জেতেন ছবির নির্মাতারা, তার পরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘বিশ্বরূপম’।