৫ দিনে বক্স অফিস সংগ্রহ পঞ্চাশ কোটি টাকার বেশি!
‘পোন্নিয়িন সেলভান’ প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরতে না সরতেই জায়গা নিল আর এক লম্বা রেসের ঘোড়া। উৎসবের মরসুমে ফের বলিউড সিনেমাকে টেক্কা দক্ষিণের। ‘রাম সেতু’, ‘থ্যাঙ্ক গড’-কে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে গিয়েছে তামিল ছবি ‘সর্দার’। ৫ দিনে এই ছবির বক্স অফিস সংগ্রহ পঞ্চাশ কোটি টাকার বেশি।
ইদানীং বক্সঅফিসে হিট মানেই বেশির ভাগ দক্ষিণী ছবি। মাস কয়েক আগে ‘লাল সিংহ চড্ডা’, ‘রক্ষা বন্ধন’কে পিছনে ফেলে এগিয়েছিল দক্ষিণী ছবি ‘কার্তিকেয় ২’। ব্যতিক্রম হল না দীপাবলিতেও। অ্যাকশন-স্পাই ঘরানার ছবি ‘সর্দার’ দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছে। তবে অনেকে মনে করছেন, ছবির উপাদানেই রয়েছে সাফল্যের চাবি। পটভূমিতে মিশে আছে বাংলাদেশ!
পুলিশ অফিসার বিজয়কে নিয়ে এই ছবির আখ্যান। বিজয়ের বাবা ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর কর্মকর্তা। কিন্তু ‘দেশদ্রোহী’ তকমা পাওয়া বিজয়ের বাবা অনেক দিন ধরেই বেপাত্তা। এর মধ্যে ‘র’-এর এক গোপন নথি চুরি যায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে বিজয় জানতে পারে, তার বাবা ৩২ বছর ধরে বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি। কিন্তু কেন? বিজয় জানার চেষ্টা করে, সত্যিই কি তার বাবা দেশদ্রোহী ছিল, নাকি ঘটনার নেপথ্যে অন্য কিছু? কী ভাবেই বা সেনি বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি হল? সে নিয়েই টানটান সব মুহূর্ত উপহার দিচ্ছে ‘সর্দার’।
ও দিকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে মজে কলকাতা। নন্দনে তিলধারণের স্থান নেই। চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত জনপ্রিয় ছবি ‘হাওয়া’ নিয়ে উন্মাদনা এখন খবরের শিরোনামে। এত ভিড় তো পশ্চিমবঙ্গের কোনও বাংলা ছবি মুক্তির সময়ও দেখা যায় না! সে নিয়ে চর্চাও চলছে। তার মধ্যেই ‘সর্দার’-এর সাফল্য সেই বিতর্ককে উস্কে দিতে চাইছে।
পরিচালক পি এস মিথরান। বরাবরই টানটান অ্যাকশন ছবি বানান তিনি। বানিয়েছেন এ বারও। সমালোচকদের মতে, গল্প সাদামাটা হলেও পরিচালনার গুণে বাজিমাত ‘সর্দার’-এর।
যদিও দক্ষিণের কিছু প্রতিবেদন বলছে, তামিল সিনেমা তাদের শিকড় ছেড়ে বেশি দূরে যায় না। তাই বাংলাদেশ প্রসঙ্গক্রমে এসে থাকলেও ‘সর্দার’ আসলে দক্ষিণী রসেই সম্পৃক্ত।