বহু মানুষ সোনুকে অনুসরণ করেন। অভিনেতার কার্যকলাপ দেখে বাকিরাও যদি এ ধরনের ক্রিয়াকলাপ শুরু করেন, খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
বছরের শুরুতে মানবদরদী অভিনেতা সোনু সুদের নয়া কীর্তি মোটেও জনপ্রিয় হল না। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সোনু, যেখানে চলন্ত ট্রেনের পাদানিতে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। সেই নিয়ে শোরগোল। এ কী করছেন সোনু! সতর্কীকরণ বার্তা এল রেলের তরফেও।
বহু মানুষ সোনুকে অনুসরণ করেন। অভিনেতার কার্যকলাপ দেখে বাকিরাও যদি এ ধরনের ক্রিয়াকলাপ শুরু করেন, খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই আশঙ্কায় উদ্বেগপ্রকাশ করেছিলেন অনুরাগীরাও। তবে উত্তর রেল দফতরের তরফেও সতর্কবার্তা আসে তার পরই। সোনুকে উদ্দেশে লেখা হয়, “লক্ষ লক্ষ মানুষ আপনাকে আদর্শ মনে করেন। ট্রেনের পাদানিতে বসে যাত্রা করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এ ধরনের ভিডিয়ো প্রশংসনীয় হওয়ার থেকেও বড় কথা, এর থেকে ভুল বার্তা ছড়াতে পারে। দয়া করে এমন ভিডিয়ো প্রচার করবেন না। সুরক্ষিত উপায়ে, আসনে বসে রেলযাত্রার আনন্দ উপভোগ করুন।”
এর পরই অবশ্য রেলের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিডিয়োটি তুলে নেন সোনু। জানান, গরিব মানুষ, যাঁরা প্রতি দিন ধস্তাধস্তি করে ট্রেনে ওঠেন, পাদানিতে দাঁড়িয়ে যান, তাঁদের যন্ত্রনা বোঝার চেষ্টা করছিলেন অভিনেতা।
क्षमा प्रार्थी
— sonu sood (@SonuSood) January 5, 2023
बस यूँ ही बैठ गया था देखने,
कैसा महसूस करते होंगे वो लाखों ग़रीब जिनकी ज़िंदगी अभी भी ट्रेन के दरवाज़ों पे गुज़रती है।
धन्यवाद इस संदेश के लिए और देश की रेल व्यवस्था बेहतर करने के लिए। https://t.co/F4a4vKKhFy
কখনও দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে থাকায়, কখনও রোগীর সেবায় নাম উঠে আসে অভিনেতা সোনু সুদের। গত ৩ বছর ধরে জনসেবাকেই ব্রত হিসাবে নিয়েছেন ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এর নায়ক। অতিমারি আবহে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়েছেন তিনি। বছর শেষে বিহারের তরুণী প্রিয়ঙ্কা গুপ্তকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলেন সোনু। চায়ের দোকান খুলতে চেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা, যা তাঁকে খুলতে দিচ্ছিলেন না স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। এগিয়ে এসেছিলেন সোনু। প্রিয়ঙ্কার দোকান সাজিয়ে দিয়ে টুইট করেছিলেন, “প্রিয়ঙ্কার দোকান প্রস্তুত। কেউ তাকে উঠে যেতে বাধ্য করতে পারবেন না। আমি খুব তাড়াতাড়ি আসব ওর দোকানে চা খেতে।” সোনুর পোস্টে আপ্লুত অনুরাগীরা ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ‘গ্র্যাজুয়েট চায়ওয়ালি’ প্রিয়ঙ্কাকেও।