কখনও বিশ্রামরত উটের পাশে বসে, কখনও গায়ে হাত রেখে দাঁড়িয়ে সোফিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মাথায় বেগুনি ফেট্টি বাঁধা। পরনে খোলামেলা সাদা ট্যাঙ্ক টপ। জিপ গাড়িতে চেপে মরুভূমি পৌঁছে গেলেন সোফিয়া আনসারি। সম্প্রতি ভাগ করে নিয়েছিলেন এই সফরের প্রথম ভিডিয়ো। যেখানে দেখা গিয়েছিল গাড়ির ঝাঁকুনিতে লাফাতে লাফাতে চলেছেন নেটদুনিয়ার বর্তমান উন্মাদনা সোফিয়া। যাত্রাপথেও ছড়িয়ে দিলেন একরাশ উষ্ণতা। দূরে বালির হাতছানি। গান বাজছে গাড়িতে। সোফিয়ার উচ্ছল যৌবন টপের উপর দিয়ে উপচে উঠছে সেই তালে। গলায় সোনা-রূপার মিশেলে এক ভারী নেকলেস। টপের নীচে ঢিলেঢালা হারেম প্যান্ট। পুরোপুরি বেড়ানোর মেজাজে ধরা দিলেন সোফিয়া।
জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি সমাজমাধ্যমে প্রতিনিয়ত ভাগ করে নেন সোফিয়া। পরের ভিডিয়োতে দেখা যায় উটের সঙ্গে পোজ় দিচ্ছেন তারকা। পৌঁছে গিয়েছেন জয়সলমের। কখনও বিশ্রামরত উটের পাশে বসে, কখনও গায়ে হাত রেখে দাঁড়িয়ে সোফিয়া। পায়ে সাদা স্নিকার্স। তাঁকে দেখে মন্তব্যের বন্যা। ভালবাসার বার্তা দিলেন অনুরাগীরা। আবার নিন্দকরা খেয়াল করলেন সোফিয়ার তুলনামূলক ঢাকা পোশাক। কেউ বলছেন, ‘‘এত ঢেকেঢুকে এলেন যে?’’ আবার কেউ মন্তব্য করলেন, ‘‘উষ্ণতার ভাগ হবে না।’’ কয়েক জনের মতে, মরুভূমি আরও উষ্ণ হয়ে উঠবে সোফিয়ার লীনতাপে।
কিছু দিন আগেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল পুণের হোটেলে। সেখানেও ছিলেন একাই। একই সাদা স্নিকার্স খুলে রাখা ছিল ঘরে। এ ভাবেই কি একক সফরে স্বচ্ছন্দ সোফিয়া? জানতে চাইলেন অনুরাগীরা। সে উত্তর অবশ্য দেননি তিনি। কেবল ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘জয়সলমের’।
বয়স ১৮ হতে না হতেই ভাগ্যান্বেষণে তৎপর হয়েছিলেন গুজরাতের কন্যা সোফিয়া। ১০ বছরের বেশি পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন বলেও জানা যায়। ইউটিউব ভিডিয়ো এবং রিলের মতো কনটেন্ট বানিয়েই শেষমেশ তাঁর ভাগ্য ফেরে। ২০১৩ সালে নিজের নামেই ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন সোফিয়া। ২০১৭ সালে ‘ইক কুড়ি’ গানের ভিডিয়োতে ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। মূল গানটি গেয়েছিলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ।
এর পর ২০২০ সালে ‘এম এক্স টকাটক’ শোয়ে আবার একটি গানের দৃশ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন সোফিয়া। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এর পরই। সমাজমাধ্যমে একদৌড়ে তিনি তারকা হয়ে যান। বর্তমানে তাঁর খোলামেলা পোশাকের ধরন দেখে অনেকেই মডেল-তারকা উরফি জাভেদের সঙ্গে তুলনা টানতে চান।