উস্তাদ রাশিদ খান। আনন্দবাজার আর্কাইভ।
‘ঘুষ’ দিতে অস্বীকার করায় পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুললেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান। রাশিদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁদের পরিচিত এক সঙ্গীতশিল্পীকে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে দিচ্ছিল তাঁদের গাড়ি। সে সময় বেলেঘাটা ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকরা গাড়িটিকে আটকান। শিল্পীর পরিবারের অভিযোগ, রাশিদের গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষীর কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া হয়। তাঁরা তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। গাড়ির চালককে আটক করে প্রগতি ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িটিকেও নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
দেহরক্ষীর মুখে ঘটনার কথা জেনে ভোররাতে রাশিদ থানায় ফোন করে চালককে আটক করার কারণ জানতে চান। শিল্পীর স্ত্রী জয়িতার বসু খানের দাবি, তখন রাশিদকে থানায় আসতে বলা হয়। শিল্পী থানায় গেলে চালককে ছেড়ে দেওয়া হয়। গাড়িটিকেও ছে়ড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শিল্পীর পরিবারের তরফে ক্ষোভপ্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। কয়েক জন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককেও আলাদা করে এই ঘটনার কথা জানানো হয় জয়িতা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, কী কারণে শিল্পীর গাড়ির চালককে আটক করা হল এবং দুর্ব্যবহার করা হল, তা পুলিশের কাছে জানতে চাইবেন তাঁরা। পুলিশের তরফে সদুত্তর না পেলে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে প্রগতি ময়দান থানার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিদের গাড়ি আটক করা হওয়ার কারণ, ওই গাড়ি যিনি চালাচ্ছিলেন তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তাঁর অ্যালকোহল টেস্ট (কেউ মত্ত অবস্থায় আছেন কি না তা বোঝার পরীক্ষা) করা হয়। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, চালকের শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল। আর সে কারণেই ওই চালককে ধরা হয়। অন্য দিকে, সমাজমাধ্যমে একটি অ্যারেস্ট মেমো, মেডিক্যাল রিপোর্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাতে ওই চালকের নাম রয়েছে। এবং মেডিক্যাল রিপোর্টে অ্যালকোহলের মাত্রা অতিরিক্ত লেখা রয়েছে। একই সঙ্গে সমাজমাধ্যমে দু’টি ভিডিয়োও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাশিদের স্ত্রী থানায় উপস্থিত রয়েছেন। তাঁর কিছু কথোপকথন ওই ভিডিয়ো দু’টিতে রয়েছে। যদিও এই অ্যারেস্ট মেমো, মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং ভিডিয়ো দু’টি আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। আনুষ্ঠানিক ভাবে পুলিশের তরফে এখনও এ নিয়ে কিছু বলাও হয়নি।