বাবার মুখাগ্নি করছেন নকুল। ছবি : টুইটার থেকে।
পঞ্চভূতে বিলীন কেকে। ভারসোভার শ্মশানে তাঁর অন্ত্য়েষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হল। ভক্তরা বললেন, ‘‘প্রিয় তারকা অমর থাকবেন তাঁর গানে।’’
শিল্পীর অন্ত্যেষ্টি প্রক্রিয়ায় হাজির তাঁর সহকর্মীরা। হরিহরণ, শ্রেয়া, অলকা, সেলিম, অভিজিতের মতো তারকা সঙ্গীত শিল্পীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারসোভার শ্মশানে।
কেকে-র শেষকৃত্য শুরু হল। ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানে জ্বলছে শিল্পীর চিতা। চোখের জলে বাবাকে বিদায় জানালেন পুত্র নকুল এবং কন্যা তামারা।
হরিহরণ এসেছিলেন সকালেই। পরে কেকে-কে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তাঁর মুম্বইয়ের সঙ্গীত জগতের সহকর্মীরা। শ্রেয়া ঘোষাল, অভিজিৎ ভট্টাচার্য, সেলিম মার্চেন্ট, অলকা ইয়াগনিক, অনুপ জালোটা।
অনুরাগীদের চোখে জল। প্রিয় তারকা কেকে-র শেষ যাত্রায় শামিল হয়ে তাঁর অন্ত্যেষ্টি স্থলে পৌঁছলেন ভক্তরা।
গায়কের শেষ যাত্রায় অগুনতি মানুষের ভিড়। রয়েছেন অনুরাগীরা, বলিউডের সঙ্গীতজগতের বিশিষ্টরাও।
ভারসোভার মুক্তিধাম শ্মশানেই শেষকৃত্য হয়েছিল কেকে-র মায়ের। সেখানেই চিতা সাজানো হয়েছে কেকে-রও।
ভারসোভার পার্ক প্লাজা থেকে ভারসোভার শ্মশানের দূরত্ব মেরে কেটে পাঁচ মিনিট। যদি সোজা রাস্তায় পঞ্চমার্গ ধরে এগোনো যায় তবে। আর যদি ঘুরপথে যাওয়া হয় তাহলেও সাত মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়। দুপুর ১টায় গায়ক কেকে-র অন্তিম যাত্রা সম্পন্ন হবে ওই সময়ের মধ্যেই। ভারসোভার শ্মশানেই শেষকৃত্য হবে গায়ক কেকে-র। তাঁর পরিবারের তরফে অন্তত তা-ই জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে শেষ অনুষ্ঠান করার পর অসুস্থ কেকে-র মৃত্যু হয় একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তার পর তাঁর দেহ মুম্বইয়ে পৌঁছয় বুধবার রাতে।
মুম্বইয়ের ভারসোভাতে বাড়ি কেকে-র। ভারসোভারই পার্ক প্লাজা হলে গায়কের মরদেহ শায়িত রয়ছে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে সকালেই এসেছিলেন হরিহরণ। কেকে-র গাওয়া ‘ম্যাচিস’ ছবির গান ‘ছোড় আয়ে হাম’-এ একসঙ্গে গলা মিলিয়েছিলেন কেকে এবং হরিহরণ।