‘পাঠান’কে হলিউড ছবির সঙ্গে তুলনা করতে নারাজ পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
সিনেমার গল্প জুড়েই রয়েছে চমক। সেই সঙ্গে নতুনত্ব। উচ্চমার্গের কসরত, শূন্য ছুঁয়ে ফিরে আসা অ্যাকশন— সব মিলিয়ে ‘পাঠান’-এর সঙ্গে বলিউড ছবির তুলনা যত না টানা যাচ্ছে, দর্শক বেশি মিল পাচ্ছেন হলিউড ছবির সঙ্গে। বিশেষত জেমস বন্ডের ছবি, ‘মিশন ইম্পসিবল’, ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ কিংবা মার্ভেল বিশ্বে যে ধরনের অ্যাকশন দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সেগুলিরই সঙ্গে তুলনা চলছে সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠান’-এর। কেমন অনুভূতি সিদ্ধার্থের?
সিদ্ধার্থ জানালেন, তিনি খুব যে অ্যাকশন ছবির ভক্ত, এমনটা নয়। দৃশ্য নির্মাণের সময়ও নিশ্চিত ছিলেন না। ভাবছিলেন বাড়াবাড়ি কিছু হয়ে যাচ্ছে হয়তো। এ ধরনের কয়েকটি মাত্র ছবি দেখেছেন বলিউড পরিচালক। ‘পাঠান’ দর্শকের কেমন লাগবে এ নিয়ে কোনও ধারণাই নাকি ছিল না সিদ্ধার্থের।
যদিও এত দিনের বলিউড ছবির সমস্ত কীর্তি ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে একের পর এক নজির গড়ে ফেলেছে ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাওয়া ‘পাঠান’। ৬ দিনে ৬০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলা যে কোনও ব্যাপার নয়, তা ৫৭ বছরে এসেও দেখিয়ে দিয়েছেন নায়ক শাহরুখ খান।
তবে ‘পাঠান’ যে দেশের শিকড়ের রসেই সম্পৃক্ত। হলিউডের সঙ্গে মিল প্রসঙ্গে সিদ্ধার্থ বললেন, “যখন বলিউডের ছাঁচে ফেলা যাচ্ছে না তখনই ‘পাঠান’কে হলিউডের স্কেলে মাপতে চাওয়া হচ্ছে। যদিও একটা ব্যাপার স্পষ্ট বলে রাখা ভাল, যে পশ্চিমের মতো বিপুল বাজেট নেই। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা ছিল। কম বাজেটে ‘পাঠান’ বানানোটা তাই সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ছিল।”
কর্ণ জোহর অবশ্য ‘পাঠান’ দেখা মাত্রই বুঝেছিলেন এ ছবি সাধারণ নয়। তাঁর মতে, এটিই বছরের সেরা ব্লকবাস্টার।