(বাঁ দিকে) শ্রেয়স তলপড়ে এবং দীপ্তি তলপড়ে, অক্ষয় কুমার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেতা শ্রেয়স তলপড়ে। ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’-এর শুটিংয়ে মারপিটের দৃশ্য শুট করার পর বাড়ি ফিরতেই বুকে চাপ অনুভব করেন অভিনেতা। তড়িঘড়ি অভিনেতাকে মুম্বইয়ে পশ্চিম অন্ধেরির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই রাতেই অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টিও করানো হয়। সেই দুর্যোগ কাটিয়ে এখন পুরোপুরি সুস্থ শ্রেয়স। তিনি জানিয়েছেন, তবে সেই সঙ্কটের সময়ে তাঁর পরিবারের পাশে ছিল দক্ষিণ এবং বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। শ্রেয়সের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুই ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে শ্রেয়স এবং তাঁর স্ত্রী দীপ্তি তলপাড়ে আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অক্ষয় কুমারকে।
দীপ্তি জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শ্রেয়স। সেই সময় একেবারেই তাঁর মাথা কাজ করছিল না। দ্রুত শ্রেয়সকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন। রাতেই অক্ষয়ের ফোন আসে দীপ্তির কাছে। অক্ষয় যে শ্রেয়সের খবরে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, সেটা তাঁর গলা শুনেই বোঝা যাচ্ছিল বলে জানান দীপ্তি। অক্ষয় ফোনে দীপ্তিকে বলেন, ‘‘শ্রেয়সকে কি অন্য কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দরকার আছে? থাকলে তুমি বলো, আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’’ যদিও অন্য হাসপাতালে শ্রেয়সকে নিয়ে যাওয়ার দরকার পড়েনি। পরের দিন সকালেও শ্রেয়সের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফোন করেন অক্ষয় এবং দীপ্তিকে বলেন, ‘‘আমি কি ২ মিনিটের জন্য শ্রেয়সকে এক বার দেখতে পারি?’’
দীপ্তি অক্ষয়কে বলেছিলেন, ‘‘যখন ইচ্ছে আপনি আসতে পারেন। কোনও অসুবিধা নেই।’’ শ্রেয়সের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অনুরাগীরাও। এমন এক জন হাসিখুশি, চনমনে অভিনেতা হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, এটা কেউ মেনে নিতে পারেননি। এমন যে হবে সেটা বুঝতে পারেননি শ্রেয়স নিজেও। তিনি বলেন, ‘‘শুটিং থেকে সবে বাড়ি ফিরেছি। তখনই বুকে ব্যথা শুরু হল। প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী দীপ্তিকে আমাকে ওই অবস্থায় দেখে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে আমাদের গাড়ি জ্যামে আটকে যায়। দীপ্তি গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করে বলতে থাকে, গাড়িতে রোগী আছে। তখন আমাদের গাড়িটা আগে ছেড়ে দেওয়া হয়। দীপ্তিকে ধন্যবাদ দেব না, আমি জানি ও আমার জীবনের অংশ।’’