ঐন্দ্রিলা শর্মার সঙ্গে শিখা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
“মরণোত্তর কৃতী সম্মান নেওয়ার কি এটা সময়!” কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মা শিখা শর্মা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোটা টেলিপাড়া একত্র হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানেই মরণোত্তর কৃতী সম্মান দেওয়া হয় ঐন্দ্রিলাকে। মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেওয়ার সময়ই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রীর মা। একই মঞ্চে পুরস্কৃত হয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরীও। অভিনেতাকে সঙ্গে নিয়েই বসেছিলেন ঐন্দ্রিলার মা।
আনন্দবাজার অনলাইনের ফোন ধরতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা শিখা। বললেন, “পুরস্কার নিয়ে একটুও ভাল লাগেনি। এটা কি বয়স মরণোত্তর সম্মান পাওয়ার বয়স আমার মেয়েটার? খুব কষ্ট হচ্ছে। এমন সম্মান তো মঞ্চে উঠে ওর ছেলেমেয়ের নিতে যাওয়ার কথা ওর বয়সকালে। সেখানে আমাদের নিতে হল। এই কষ্টটা যে কী করে কমবে, কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিকতার জবাব নেই।”
পুরস্কার নিয়ে সেই রাতেই বহরমপুর ফিরে এসেছেন তাঁরা। ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী এখনও তাঁদের জীবনের অনেকটা জুড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে নিজের বাড়ি চলে এসেছেন নায়ক।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ঐন্দ্রিলা। টানা ১৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দ্বিতীয় বার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর আর সুস্থ করে ঘরে ফেরানো যায়নি নায়িকাকে। বাড়ির ছোট মেয়েকে হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা। অন্য দিকে ঐন্দ্রিলার বিশেষ মানুষ সব্যসাচী মন দিয়েছেন নতুন কাজে। এই মুহূর্তে তাঁকে দর্শক দেখছেন ‘রামপ্রসাদ’ সিরিয়ালে। নতুন করে জীবন গোছানোর চেষ্টা করলেও এখনও ঐন্দ্রিলা না থাকার যন্ত্রণা ভুলতে পারছেন না তাঁরা।