Sidharth Shukla

Sidharth Shukla-Shehnaaz Gill: সিদ্ধার্থের শরীর ঠান্ডা হয়ে এসেছে দেখেই তাঁর পরিবারকে ডাকেন শেহনাজ

শেহনাজই প্রথম, যিনি সিদ্ধার্থকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। সিদ্ধার্থের শরীর ঠান্ডা হতে দেখেই পরিবারকে খবর দেন তিনি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:০৬
শেহনাজই প্রথম, যিনি সিদ্ধার্থকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান।

শেহনাজই প্রথম, যিনি সিদ্ধার্থকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান।

‘একটা ঝড় এসে যেন তছনছ করে দিল তাঁকে’, সিদ্ধার্থ শুক্লর মৃত্যুর পর তাঁর প্রেমিকা শেহনাজ গিলকে দেখে এমনই কথা বলছেন তাঁদের বন্ধুরা। জানা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকালে শ্যুটে ব্যস্ত ছিলেন শেহনাজ। প্রেমিকের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে শ্যুট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু পরে জানা যাচ্ছে, তা সত্যি নয়। শেহনাজই প্রথম, যিনি সিদ্ধার্থকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান।

সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর, পুলিশের কাছে শেহনাজ জানিয়েছেন, তিনিই সিদ্ধার্থকে কুপার হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে ছিল প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। শেহনাজের বয়ান অনুযায়ী, বুধবার রাতে সিদ্ধার্থের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ সিদ্ধার্থের ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন, সিদ্ধার্থ সাড়া দিচ্ছেন না। শেহনাজ তাঁর মাথা কোলে তুলে নেন। পাগলের মতো তাঁকে ডাকতে থাকেন। যখন বুঝতে পারেন যে, সিদ্ধার্থের শরীর ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে, তিনি ছুটে নীচের তলায় গিয়ে সিদ্ধার্থের মা এবং বোনেদের খবর দেন। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। তার পর সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সিদ্ধার্থকে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

Advertisement
শেহনাজ এবং সিদ্ধার্থ

শেহনাজ এবং সিদ্ধার্থ

সংবাদমাধ্যমকে শেহনাজের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে তাঁকে বলেছেন, ‘‘আমার কোলে মাথা রেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সিদ্ধার্থ।’’

সিদ্ধার্থের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুতে কোনও রহস্য নেই। ‘অস্বাভাবিক’ বা ‘মানসিক অবসাদ’-এর মতো শব্দও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোনও রকম গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

পরিবারের কথায়, বুধবার রাতে খুবই শান্ত ছিলেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু শরীরে অস্বস্তি হওয়ায় রাতে অল্প খাবার খেয়ে ঘুমতে গিয়েছিলেন। একটি ওষুধও খেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর আর ঘুম থেকে ওঠেননি ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’-র অভিনেতা।

Advertisement
আরও পড়ুন