শাহিদ-করিনা। ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় বলিপাড়ার চর্চিত সম্পর্কের তালিকার একেবারে শীর্ষে ছিলেন শাহিদ কপূর ও করিনা কপূরের জুটি। প্রায় পাঁচ বছর সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। সেই সময় জুটি বেঁধে বেশ কিছু ছবিও করেছিলেন তাঁরা। যার মধ্যে ‘জব উই মেট’ তাঁদের কেরিয়ারের অন্যতম সফল ছবি। যদিও পরে (ছবির কাজ শেষ হওয়ার আগেই) ভেঙে যায় সেই সম্পর্ক। তবে এক সময় শাহিদ-করিনার ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ানোর গোপন ছবি প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। মায়ানগরীতে আলোকচিত্রীরা সারা ক্ষণই প্রায় তারকাদের পিছনে। কোনও এক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে শাহিদ-করিনাকে তাঁদের অগোচরেই ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তাঁরা। এই ঘটনা বেজায় খেপে যান বেবো। প্রায় ২০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির মামলা করেন করিনা। অন্য দিকে শাহিদ কপূর ওই ঘটনায় মেজাজ হারিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁদের দু’জনেরই অভিযোগ ছিল, ছবিটি ভুয়ো। তবে বহু বছর পরে অন্য প্রতিক্রিয়া দেন অভিনেতা।
‘ব্লাডি ড্যাডি’ মুক্তির পর এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘‘সেই সময় মনে হয়েছিল, জীবনটা ধ্বংস হয়ে গেল। বয়স কম ছিল। মাত্র ২৪ বছর বয়স! মনে হয়েছিল, আমার ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে চলে এল। আমি কিছু করতেও পারছি না। তখন সদ্য সদ্য আমরা সম্পর্কে জড়িয়ে প্রেমের মতো আবেগ বুঝতে শিখেছি। নিজেরাই ঠিক মতো জানি না, আমরা কী চাইছি। এর মাঝেই এত কিছু হয়ে যাওয়ায় ঠান্ডা মাথায় কিছু প্রতিকার বার করতে পারিনি।’’
শেষে অভিনেতার সংযোজন, ‘‘পরে অবশ্য আমার বিয়ে হল। সংসার হল, সন্তানের বাবা হলাম। এখন এগুলোর আর কোনও গুরুত্ব নেই। এখন অনেক নতুন ২৪ বছর বয়সিরা চলে এসেছে। এখন লোকে তাদের নিয়ে ব্যস্ত!’’ ‘জব উই মেট’ ছবি চলাকালীনই শাহিদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় করিনার। তার কিছু দিনের মধ্যেই সইফ আলি খানের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করেন বেবো। বর্তমানে সইফ আলি খানের সঙ্গে সুখের সংসার নায়িকার। দুই ছেলের মা করিনা। অন্য দিকে, এই ঘটনা বেশ কয়েক বছর পর মীরা রাজপুতের সঙ্গে বিয়ে হয় শাহিদের। সেই বিয়ের প্রায় আট বছর পেরিয়ে গিয়েছে। দুই সন্তানের বাবা-মা এখন তাঁরা।