আরজি কর-কাণ্ডে বিরক্ত শাবানা আজ়মি। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই গণবিক্ষোভের আবহ গোটা বাংলা জুড়ে। ১৪ অগস্টের পর থেকে একের পর এক প্রতিবাদ মিছিল চলেছে ‘মিছিল নগরী’তে। কোনও মিছিলে রাজনৈতিক রং লাগছে, কোথাও আবার রয়েছে নাগরিক সমাজের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। সকলের দাবি, ‘বিচার চাই’।
তবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ শুধু রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশ জুড়ে গিয়েছে এই প্রতিবাদের সঙ্গে। পিছিয়ে নেই বলিউড তারকারা। হিন্দি সিনেমা জগতের তাবড় অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট, করিনা কপূর খান, সামান্থা রুখ প্রভুরা সরব হয়েছিলেন ৩১ বছরের এই তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে। কলকাতার এই ঘটনা শুনে বার বার অবাক হয়েছেন অভিনেত্রীর শাবানা আজ়মি। পুণেয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে জানান ধর্ষণ থেকে মুক্তির উপায়।
সমাজমাধ্যমে সক্রিয় শাবানা। সমাজে যখনই কোনও অন্যায় দেখেছেন, বলিষ্ঠ ভাবে তাতে নিজের মত সামনে রেখেছেন। স্পষ্টবাদী বলে অনেক সময়ই রক্ষণশীলদের চক্ষুশূলও হতে হয়েছে শাবানাকে। যদিও নিজের মতামত রাখতে কখনও পিছপা হননি তিনি। এ বার তিনি সরব হলেন কলকাতায় ঘটে যাওয়া এই ধর্ষণ ও হত্যা নিয়ে। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এই ধরনের ঘটনা ভয়ঙ্কর। আমি বিরক্ত এটা দেখে, এখনও এই ঘটনা ঘটে চলেছে সমাজে। ২০১২ সালে নির্ভয়াকাণ্ডের পর জাস্টিস বর্মা কমিটির রায়ের পরও এগুলো ঘটছে ভেবেই বিরক্ত।’’ এই অস্থির সময় কী ভাবে মুক্তি পাবে ধর্ষণ থেকে, সেই প্রসঙ্গে শাবানা বলেন, ‘‘প্রথমত মহিলাদের পণ্য রূপে ব্যবহার করাটা বন্ধ করতে হবে। এবং আমাদের মজ্জাগত যে পুরুষতন্ত্র রয়েছে তাকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হবে।’’
শুধু শাবানা নন, এই ঘটনার পর সরব হয়েছেন বিজেপির সাংসদ ও অভিনেত্রী হেমা মালিনীও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে হেমা বলেন, ‘‘বাংলায় যা হচ্ছে, ভাল হচ্ছে না। বিজেপি কর্মীরাই তো শুধু প্রতিবাদ করেছেন। মহিলাদের উপর যে হিংসার ঘটনা ঘটছে তার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। আমি মমতাজিকে অনুরোধ করব, যেটা সঠিক, সেটা করুন। আর দেরি করবেন না। গোটা দেশ অপেক্ষা করছে। দোষীর দ্রুত সাজা হওয়া উচিত।”