‘বল্লভপুরের রূপকথা’ ছবির দৃশ্যে সত্যম ভট্টাচার্য। নিজস্ব-চিত্র।
‘মিশর রহস্য’, ‘গুমনামী’, ‘নিরন্তর’-এর মতো ছবিতে দর্শক তাঁকে দেখেছেন। তবে এ বারে সত্যম ভট্টাচার্যের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত প্রথম ছবি ‘বল্লভপুরের রূপকথা’য় তিনি মুখ্য চরিত্রে। ছবি মুক্তির দোরগোড়ায়। এই মুহূর্তে সত্যমের মনের অবস্থা কী রকম? হেসে বললেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে দশটা বছর কাটানোর পর অবশেষে সুযোগটা এল। তাই আরও বেশি ভাল লাগছে। আর তো কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’’
‘মন্দার’ ওয়েব সিরিজ়ে সহকারী পরিচালক হিসাবে অনির্বাণের সঙ্গে কাজ করেছিলেন সত্যম। সুযোগ এল কী ভাবে? অভিনেতা জানালেন, এস্তোনিয়ায় হিন্দি ছবির শুটিং শেষ করে কলকাতায় ফিরেই অনির্বাণ তাঁকে এই ছবির প্রস্তাব দেন। সত্যমের কথায়, “শুরুতে বিশ্বাসই করতে পারিনি। তখনও বাদল সরকারের মূল নাটকটা আমার পড়া ছিল না। তার পর গোটা পাঁচেক অডিশন দেওয়ার পর নির্বাচিত হলাম।’’ সেই সঙ্গে ছবির ভূপতি চরিত্রটা যে এখনও পর্যন্ত তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং চরিত্র, তা স্পষ্ট করলেন সত্যম।
এক সময় নাটক করতে করতে অভিনয়ের টানেই টলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। শুরুর যাত্রাপথটা মসৃণ ছিল না। আজকে ফিরে তাকালে কী মনে হয় তাঁর? অভিনেতা বললেন, ‘‘ছবি তৈরির পদ্ধতিটা শুরু থেকেই আমাকে আকর্ষণ করত। সহকারী পরিচালক হিসাবেও কাজ করেছি। তবে প্রথম পছন্দ ছিল অভিনয়। সেখান থেকেই ইন্ডাস্ট্রিতে আসা। আমার কারও প্রতি কোনও ক্ষোভ নেই। মনের মধ্যে সে রকম কোনও দুঃখও পুষে রাখিনি। শুধু মাথায় রেখেছিলাম মন দিয়ে কাজটা করে যেতে হবে।’’
ছোট ছোট চরিত্রের হাত ধরে এ বারে মুখ্যচরিত্র। টলিপাড়াতে শুরুর দিনের সেইসব ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সত্যমের স্মৃতিচারণ, ‘‘এখানে অনেক জায়গায় আমার চেহারার জন্যও বাদ পড়েছি। কেউ বলেছেন আমার চেহারা নায়কের মতো নয়। কেউ আবার বলেছেন আমার ভুঁড়ি আছে।’’ ইদানীং বলা হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে নাকি অভিনেতা নির্বাচন করা হয় তার সমাজমাধ্যমের ফলোয়ার দেখে। এ নিয়ে রয়েছে নানা মত। তাঁর কথায়, ‘‘শুধু এখানে কেন, আমি তো মুম্বইয়ের কাজ থেকেও বাদ পড়েছিলাম। অডিশনে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রয়োজনা সংস্থা আমার সমাজমাধ্যমের প্রোফাইলগুলো দেখতে চায়। তারপর ওরা আর কোনও রকম যোগাযোগ করেনি। কারণটা বুঝতে আমার আর বেশি সময় লাগেনি।’’