পা পিছলে পাথরের খাঁজেই আটকে পড়েছিলেন সারা এবং জাহ্নবী!
হাড়হিম করা ঠান্ডা! তারই মধ্যে খাদের গায়ে আটকে বলিউডের দুই নায়িকা! সারা আলি খান এবং জাহ্নবী কপূর। পা হড়কে গিয়েছিল দুই তারকাসন্তানের। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিপজ্জনক ভাবে পাথরের খাঁজে ঝুলে ছিলেন দু’জনে! কী ভাবে বেঁচে ফিরলেন? ‘কফি উইথ কর্ণ’-এর ৭ম সিজনে এসে সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতাই শোনালেন সারা এবং জাহ্নবী।
সারা বলেন, “আমরা ভৈরবনাথ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেখানে হাঁটার জন্য একটি সাধারণ রাস্তা ছিল। কিন্তু আমরা দু’জনেই অ্যাডভেঞ্চার চাইছিলাম। হাইকিংয়ের জন্য তাই বাঁকা, দুর্গম পথ বেছে নিই। সেখানে শুধু পাথরের ৮৫টি বাঁক ছিল। সেই পাথুরে পথ বেয়ে আমরা চূড়ার দিকে উঠতে শুরু করি।’’
কিছু দূর এগিয়েই দু’জনে বুঝতে পারেন, কাজটা মোটেই ঠিক হয়নি। পিছল পাথরে পা হড়কে যাচ্ছিল সারার। জাহ্নবীও টালমাটাল। কিন্তু তখন আর ফেরার পথ নেই। সেই সময়ে এক ব্যক্তিকে দেখে ধড়ে প্রাণ আসে দুই অভিনেত্রীর। সেই ব্যক্তি এগিয়ে এসে জানান, তিনি এক জন অনুরাগী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল কেবল নায়িকাদের সঙ্গে নিজস্বী তোলা। ছবি তুলেই তিনি সেখান থেকে চলে যান বলে জানান সারা। কিন্তু তার পর?
পা পিছলে পাথরের খাঁজেই আটকে পড়েছিলেন দু’জনে। শেষে তাঁদের খুঁজতে বেরিয়ে গাড়িচালক হঠাৎই দেখতে পান দুই কন্যেকে। স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে বিশেষ বাহিনী এনে তিনিই অভিনেত্রীদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
সারা জানান, পাহাড়ে বেড়াতে এসে কনকনে ঠান্ডায় এক দিনের মধ্যেই তাঁদের উৎসাহ উবে গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় মাঝপথে যেখানে রাত্রিবাস করেছেন, সেই অভিজ্ঞতাও ছিল ভয়াবহ!
জাহ্নবী বলেন, ‘‘৬০০০ টাকা দিয়ে একটা রুম হিটারওয়ালা হোটেল পেয়েছিলাম কোনও মতে। আমি দুটো থার্মাল, একটা পাফার জ্যাকেট, তিনটে শাল, দুটো ট্র্যাক প্যান্ট এবং দুটো সোয়েটার নিয়ে কেদারনাথে গিয়েছিলাম। সবক’টা একসঙ্গে গায়ে চাপিয়েও কেঁপে একশা। মাইনাস ৭ ডিগ্রিতেই মনে হচ্ছিল আর বেঁচে ফিরব না!’’ অভিনেত্রী আরও জানান, সারা যখন ঘরে আসেন, তাঁর ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছিল। এত ঠান্ডায় হোটেলের শৌচাগারেও জল গরম হচ্ছিল না সে ভাবে। এ দিকে, যে বাথটাবটা ছিল, সেটায় বসতেই সাহস হয়নি। মনে হয়েছিল, ভেঙে যেতে পারে! সে যাত্রা যে ভাবে বাড়ি ফিরেছেন দুই তরুণী অভিনেত্রী, তাতে আপাতত বহু দিন তাঁরা পাহাড়মুখী হচ্ছেন না, এমনটাই জানালেন দু’জনে।