দীপিকা এবং সঞ্জয়।
পরপর ৩টি ছবি ‘রাম লীলা’, ‘বাজিরাও মাস্তানি’, ‘পদ্মাবত’। ৩টিই ব্লকবাস্টার হিট। সে সময় প্রায় একই সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছিল ছবির নায়িকা আর পরিচালকের নাম। বলিউড বলছে, কাজের দিক থেকেও নাকি একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। তাই মহাভারতের ‘অগ্নি কন্যা’ দ্রৌপদীকে নিয়ে ছবি বানানোর ভাবনা মাথায় আসতেই নাকি অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন, ছবির পরিচালক হবেন সঞ্জয়। বলিউড সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুধুই ভাবা নয়। দীপিকা নাকি ভন্সালীকে পরিচালনার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি, পৌরাণিক গল্প, জমকালো সেট আর দ্রৌপদীর মতো চরিত্রকে পর্দায় ঠিক মতো ফুটিয়ে তুলতে পারবেন একমাত্র সঞ্জয়। দীপিকার সেই স্বপ্ন অধরাই। বলিউডে জোর গুঞ্জন, পরিচালক নাকি সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন সেই প্রস্তাব। জানিয়েছেন, ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়’ এবং আগামী ছবি ‘বৈজু বাওরা’ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত তিনি যে সময় দিতে পারবেন না ‘দ্রৌপদী’কে।
‘দ্রৌপদী’, নাকি দীপিকায় আপত্তি সঞ্জয়ের? এর পরেই এই প্রশ্নে উত্তাল হিন্দি ছবির দুনিয়া।
এমন প্রশ্নের পিছনে একাধিক কারণও রয়েছে। খবর, পরপর ৩টি ছবির সাফল্য অভিনেত্রী-পরিচালকের পারস্পরিক নির্ভরতা বাড়িয়েছিল। একে অন্যের ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। তেমনই একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেও নাকি শুরু করে দিয়েছিলেন। দ্বন্দ্বের শুরু সেই জায়গা থেকেই। কাজে সেই দ্বন্দ্ব ছাপ ফেলায় ‘গাঙ্গুবাই’ দীপিকাহীন। সেই সুযোগে আলিয়া ভট্ট উঠে আসেন পরিচালকের ‘দ্বিতীয় পছন্দ’ হিসেবে। শোনা গিয়েছে, ছবিতে একটি গানের দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য নাকি দীপিকাকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন সঞ্জয়। দীপিকা সাড়া দেননি। অভিনয়ে রাজি হননি ভন্সালী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘হীরা মান্ডি’তেও। এ বার পালা সঞ্জয়ের। পরিচালনার প্রস্তাব রাখতেই তিনিও তাই প্রত্যাখ্যান করলেন দীপিকাকে?
যদিও পরিচালকের মুখপাত্র বলছেন অন্য কথা। তাঁর দাবি, ‘‘দীপিকা-সঞ্জয় এখনও খুব ভাল বন্ধু। দু’জনেই চূড়ান্ত পেশাদার। ফলে, আগামী দিনে সঞ্জয়ের ছবিতে আবারও দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। আপাতত, তাঁরা যে যার কাজে ব্যস্ত।’’ একই সঙ্গে সম্ভাবনাও জিইয়ে রেখেছেন তিনি, ‘‘কে বলতে পারে, ‘দ্রৌপদী’ই হয়তো আবার মিলিয়ে দেবে দীপিকা-সঞ্জয়কে!’’