(বাঁ দিকে) অমিশা পটেল, সঞ্জয় লীলা ভন্সালী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে অমিশার আত্মপ্রকাশ ২০০০ সালে। বিপরীতে হৃতিক রোশন। ‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবিতে জুটি বাঁধেন হৃতিক-অমিশা। প্রথম ছবিতেই আকাশছোঁয়া সাফল্য। অনুরাগীদের আশা ছিল, বলিউডের অন্যতম উজ্জ্বল তারকা হিসাবে দেখতে পাবেন অমিশাকে। ঠিক এক বছর পরই অভিনেত্রী দ্বিতীয় ছবি মুক্তি পায়। ২০০১ সালের সেই ছবির নাম ছিল ‘গদর’। দ্বিতীয় ছবিতে আরও বেশি সাফল্য পান অমিশা। সচারাচর অভিনেতার জীবনে এমন ঘটনা প্রায় বিরল। কেরিয়ারের শুরুতেই পর পর দুটি ছবিতেই বিপুল সাফল্যের মুখ খুব কম অভিনেতাই দেখেছেন। তবে অমিশা তেমনই ভাগ্যবতী। অমিশার এই সাফল্য দেখে তাঁকে অবসর নেওয়ার পরামর্শ দেন বলিউডের নামজাদা পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালী।
অমিশার ‘গদর’ ছবিটি দেখে তাঁকে চিঠি লেখেন সঞ্জয়। সেখানেই পরিচালক বলেন, ‘‘আমিশা, তোমার এখন অবসর নেওয়া উচিত।’’ খানিকটা চমকে গিয়েই অমিশা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কেন এমন কথা বললেন সঞ্জয়? পরিচালক উত্তর দিয়েছিলেন, ‘‘কারণ তুমি ইতিমধ্যে দুটি ছবি থেকে এমন কিছু অর্জন করেছ, যা বেশির ভাগ লোক তাঁদের গোটা কেরিয়ারে অর্জন করতে পারে না। জীবনে এক বারই একটি ‘মুঘল-ই-আজম’, একটি ‘মাদার ইন্ডিয়া’, একটি ‘পাকিজা’, একটি ‘শোলে’তে কাজ করা যায়। তোমার ক্ষেত্রে অবশ্য এটা দ্বিতীয় বার। তো এর পর কী?’
এর পরে ভন্সালীর কথাই সত্যি হয়। আমিশা বলেছেন, ‘‘সঞ্জয় যা বলেছিলেন, তা পুরো কেরিয়ার জুড়ে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল।’’ অমিশা জানান, তাঁর এই সাফল্য অনেকেই ভাল নজরে দেখেননি ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘গদর’ সিনেমাটি এমন উচ্চতায় পৌঁছে যায় যে, পর তাঁর অভিনীত সব ছবির সঙ্গেই ‘গদর’-এর তুলনা টানা হয়েছে। এবং কোনওটাই সেই সাফল্য দেখেনি।
২২ বছর আগে ২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত ছবি ‘গদর’। ভারতের তারা সিংহ ও পাকিস্তানের শাকিনার প্রেমকাহিনি জায়গা করে নিয়েছিল দর্শকের মনে। তার প্রায় ২২ বছর পরে মুক্তি পেয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির দ্বিতীয় ছবি। ১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহান্তেই বক্স অফিসে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছিল অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদর ২’। তৃতীয় সপ্তাহে পড়তেই ৪০০ কোটি ছুঁয়ে ফেলল এই ছবি। বক্স অফিস ব্যবসার নিরিখে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’-এর পর সব থেকে সফল হিন্দি ছবি ‘গদর ২’।