অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং স্যান্ডি সাহা
টলিউডের এক অভিনেতার সঙ্গে ঘোরতর বিবাদের মাঝেই অন্য এক অভিনেতার সঙ্গে স্যান্ডি সাহার প্রেমের চিত্র ফুটে উঠল। অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে তাঁর সংঘাত নিয়ে নানা কথার মাঝেই ‘ডেটে’ ব্যস্ত হয়ে পড়লেন ইউটিউবার। ‘বেলাশেষে’ খ্যাত অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং স্যান্ডি একে অপরকে নিয়ে প্রেমের কবিতা লিখতেও শুরু করেছেন। তার দু’একটা টুকরো চারপাশে ছড়িয়েও পড়েছে ইতিমধ্যে। সত্যিই কি তবে প্রেমে পড়লেন তাঁরা?
স্যান্ডির রূপে মুগ্ধ অনিন্দ্য বলছেন, ‘‘আমার জানুকে নেশার ঘোরে দেখতে লাগে নাইস!’’ তাঁর প্রশংসা শুনে লজ্জায় লাল হয়ে উঠছেন অন্যতম জনপ্রিয় ‘রোডি’। সবই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু স্যান্ডির চোখে অনিন্দ্যর উদ্দেশ্য কেমন কেমন যেন ঠেকছিল। তিনি কেবলই প্রেম করতে চান, নাকি...? সেই সন্দেহেই স্যান্ডি জানিয়ে দিলেন, বিয়ের আগে তিনি কোনও রকম শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চান না অনিন্দ্যর সঙ্গে। তার পরেই কথার পিঠে কথা চেপে তর্ক শুরু। শেষমেশ স্যান্ডি তাঁর ‘ডেট’-কে জুতো দেখিয়ে রেস্তরাঁ-ছাড়া করলেন।
না, এর কোনওটিই বাস্তবে ঘটেনি। স্যান্ডির ইউটিউব চ্যানেলে নতুন অতিথি হয়ে এসেছেন অনিন্দ্য। তাঁরা দু’জনে মিলে অভিনয় করে দেখালেন। তৈরি হল ছোট্ট মজার ভিডিয়ো। আনন্দবাজার অনলাইনকে স্যান্ডি বললেন, ‘‘দু’সপ্তাহ আগে একটি ক্যাফেতে শ্যুট হয়েছে এই ভিডিয়োটি। মজা হয়েছে বেশ। আজকেই আমার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে। ধীরে ধীরে নেটমাধ্যমেও পোস্ট করা হবে।’’
অনিন্দ্যর কথাই মাথায় এল কেন স্যন্ডির? তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার মধ্যে বৌদি বৌদি ব্যাপার আছে। আর ‘দুপুর ঠাকুরপো’-তে অভিনয় করার পর থেকে অনিন্দ্যকে আমার আদর্শ 'ঠাকুরপো' মনে হয়। তা ছাড়া অনিন্দ্যর নেটমাধ্যমে অনুরাগীদের সংখ্যাও বেশ ভাল। নতুন প্রজন্মের কাছে ও খুবই পরিচিত। তাই চার দিক বিবেচনা করেই আমি অনিন্দ্যকে বেছে নিয়েছি এই ভিডিয়োর জন্য।’’