(বাঁ দিকে) সলমন খান। নমশি চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
মিঠুন চক্রবর্তীর যশ, প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে তারকা হয়ে ওঠার গল্প সকলের জানা। তাঁর তিন ছেলে মেয়ে। বড় ছেলে মহাঅক্ষয় চক্রবর্তী ও ছোট ছেলে নমশি চক্রবর্তী। দুজনেই বাবার মতো অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। যদিও মহাঅক্ষয়ের কেরিয়ার সে ভাবে উড়ান নিতে পারেনি। গত বছর রাজকুমার সন্তোষীর ‘ব্যাড বয়’ ছবিতে অভিষেক হয়েছে তাঁর। যদিও বক্স অফিসে সে ভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি এই ছবি। তবু তারকা সন্তান তিনি। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেই বেড়ে ওঠা। পরিচিতিও কম নেই তাঁর। তবু না কি সলমন খানের মেজাজের মুখে পড়েন তিনি। নমশিকে ছবির সেট থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেন। কী এমন অপরাধ ছিল তাঁর?
ভাইজানের মুড কখন যে কেমন তা বুঝতে পারেন না তাঁর ঘনিষ্ঠেরাই। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের কানাঘুষো, কারও কথায় যদি তিনি অসন্তুষ্ট হন, তার প্রভাব গিয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কেরিয়ারে।
এমনই এক ঘটনা ঘটে নমশির সঙ্গে। ঘটনাটা ২০২১ সালের। নমশি সবে নিজের ‘ব্যাড বয়’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন। পাশেই চলছিল সলমনের ‘রাধে’ ছবির শুটিং। পাশের সেটে সলমন রয়েছেন শুনে দেখা করতে যান মিঠুন-পুত্র। সলমনকে দেখা মাত্রই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যান নমশি। তাতেই ধমক দিয়ে সলমন বলেন,‘‘আমি তোমার বয়সি, আমাকে একদম প্রণাম করতে আসবে না। দ্বিতীয় বার পায়ে হাত দিলে সেট থেকে বাইরে বের করে দেব। আলিঙ্গন কর।’’ গোটাটই সলমন করেছিলেন মজার ছলে। পাশপাশি সলমন জানিয়েছিলেন, দিশা পটানি সামনে থাকলে কোনও ভাবেই যাতে পায়ে হাত না দেন। আসলে ‘রাধে’ ছবিতে একটি গানে দেখা গিয়েছিল দিশাকে। সেদিনের শুটিংয়েই নমশিকে প্রায় ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়ে দিয়েছিলেন সলমন।