সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছর মার্চ মাস নাগাদ প্রাণনাশের হুমকি পেতে শুরু করেন সলমন খান। পঞ্জাবি শিল্পী সিধু মুসেওয়ালাকে গুলি করে খুন করেন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যেরা। অভিযোগ স্বীকারও করে নেন লরেন্স বিষ্ণোই। এই মুহূর্তে জেলবন্দি এই গ্যাংয়ের মাথা লরেন্স। জেলে বসে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। জানিয়েছিলেন, সলমনই তাঁদের পরবর্তী নিশানা। তবে এত দিন ধরে আড়ালেই ছিলেন গোল্ডি ব্রার। যদিও গত বছরের শেষের দিকে খবর মেলে, আমেরিকায় নাকি আটক করা হয়েছে লরেন্সের সহযোগী অভিযুক্ত গোল্ডিকে। কিন্তু পরে শোনা যায় গোল্ডি ফেরার রয়েছেন। এ বার জনসমক্ষে সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন গোল্ডি। এই প্রথম জনসমক্ষে সলমন খানকে খুন করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন ফেরার মাফিয়া। গোল্ডি বলেন, ‘‘সলমন খানকে খুন করার পরিকল্পনা নিশ্চিত ভাবে রয়েছে আমাদের। লরেন্স ভাই জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না।’’ এর পর আরও জোরালো হয়েছে ভাইজানের নিরাপত্তা। ঠিক কী কী সংযোজন হল অভিনেতার নিরাপত্তা?
এমনিতেই প্রাণনাশের হুমকি ফোন পাওয়ার পর থেকেই অভিনেতার আবাসনের সামনে বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা মধ্যে চলাফেরা করেন তিনি। রয়েছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি। এ ছাড়াও রয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী। এ বার গোল্ডির তরফে সরাসরি খুনের হুমকি পাওয়ার পর অভিনেতার নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা ভাবছে মহারাষ্ট্র সরকার। বি৬ বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে রাতারাতি বি৭-এ গাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে। এ ছাড়াও মুম্বই পুলিশ সারা ক্ষণ সচেতন রয়েছে যে কোনও ধরনের সন্দেহজনক কর্মকীর্তি নিয়ে।
গত মার্চ মাসে সলমন খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে হুমকি মেল পাঠানোর জন্য লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। লরেন্স জেলে থাকলেও পলাতক গোল্ডি। মুসেওয়ালাকে খুনের অভিযোগে তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। এর মাঝেই সলমনকে হুমকি দিলেন গোল্ডি।