নিজেকে নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন সলমন। — ফাইল চিত্র।
বলিউডের ‘ভাইজান’ বললেই গোটা বিশ্ব এখন তাঁকে চেনে। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবি করেই রাতারাতি তারকা বনে যান সলমন খান। তবে শুরুর দিকে প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনিও। নিজেকে নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন সলমন।
প্রথম ছবিতে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে লজ্জার শেষ ছিল না তাঁর। ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’ নামে সেই ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সলমন। প্রার্থনা করতেন, কেউ যেন না দেখেন সেই ছবি! ঘটনাচক্রে ছবিটি বিশেষ জনপ্রিয় হয়নি, দর্শক এর নামই ভুলে গিয়েছে।
২০০৬ সালে একটি সাক্ষাৎকারে সলমন জানান, প্রাথমিক ভাবে তিনি ছবির পরিচালক হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বয়স এতই কম ছিল তাঁর, যে, কেউই তাঁকে পরিচালক হিসাবে কাজ দেননি। তবে নায়ক হওয়ার যোগ্যতা তাঁর নেই বলেই মনে করেছিলেন সলমন। তাঁর কথায়, “আমার সেই উচ্চতা, চেহারা বা ব্যক্তিত্ব ছিল না। সুদর্শন হিরো হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না বলেই জানতাম।”
সলমন তাঁর প্রথম ছবি সম্পর্কে বলেন, “আমি যখন ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’তে আমার কাজ দেখি, বুঝেছিলাম খুব খারাপ অভিনয় করেছি।” ছবিতে ছিলেন রেখা, বিন্দুর মতো তারকা। সলমন জানান, চিত্রনাট্য শোনার পরেই চুক্তিতে সই করেছিলেন। তাঁর কথায়, “আমার সত্যিই পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু যখন আমি আমার কাজ দেখেছিলাম ছবিতে... প্রার্থনা করেছিলাম, কেউ যেন ছবিটি না দেখেন। পৃথিবীতে আমিই মনে হয় একমাত্র, যে প্রার্থনা করেছিল, যেন কেউ না দেখেন তার প্রথম ছবি। এত খারাপ কাজ করেছিলাম। মরমে মরছিলাম আমি।”
জে কে বিহারি পরিচালিত ছবিটিতে তিনি কী ভাবে কাজ পেয়েছিলেন, সে বিষয়েও জানিয়েছিলেন অভিনেতা। সলমনের কথায়, “পরিচালক ওই চরিত্রটির জন্য অনেককে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ছোট-বড় কোনও অভিনেতাই শেষ অবধি নানা কারণে চরিত্রটা করতে রাজি হননি। হতাশ পরিচালক তাঁর টিমকে বলেন, এর পর যে ‘ইডিয়ট’ আসবে, তাকেই চরিত্রটার জন্য সই করাতে হবে। সেই ‘ইডিয়ট’ ছিলাম আমি।”