রাজনীতি না সিরিয়াল, কোনটা এখন প্রধান রূপার জীবনে। ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ ৩৫ বছরের অভিনয় কেরিয়ারে চার বার বিরতি নিয়েছেন। কিন্তু এ বার একটু বেশি সময় নিয়ে ফেলেছেন তিনি। দীর্ঘ আট বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। মাঝে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর রাজ্যসভার সাংসদই ছিল তাঁর পরিচয়। সম্প্রতি মেয়াদ শেষ হয়েছে সাংসদ পদের। তার পরেই অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন বিজেপি নেত্রীর। সিরিয়ালের নাম ‘মেয়েবেলা’। মিত্রবাড়ির মেজবউ বীথির চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। অভিনয় ফিরেছেন বলেই কি রাজনীতিকে বিদায় রূপার? একটু হলেও কি ব্যাকফুটে তিনি? তাই কি নিজের পূর্বাশ্রম অভিনয়ে ফিরে আসা? কী ভাবে নিজের দু’টি আলাদা কর্মজীবন সামলাচ্ছেন, জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।
প্রশ্ন: এত বছর পর ফের কল টাইম! অনুভূতি কেমন প্রথম দিন সেটে ফেরার?
রূপা: পার্লামেন্টেও তো কল টাইম থাকত! বেলা ১১টার সময় পড়ি কি মরি করে দৌড় দিতে হত। আসলে আমি সারা জীবন সকালে উঠতে ভালবাসি। সিনেমা বা পর্দার নেশাটা অন্যরকম। একটা চরিত্র, যেটা তুমি নয়, সেটা ফুটিয়ে তোলার একটা আলাদা অনভূতি তো রয়েছেই।
প্রশ্ন: গত আট বছরে সিনেমা বা সিরিয়ালের কতগুলো প্রস্তাব পেয়েছেন?
রূপা: এই আট বছরে একাধিক প্রস্তাব পেয়েছি। কিন্তু সময় ছিল না বলে করতে পারিনি। তার জন্য দুঃখ নেই। এখন সময় পেয়েছি। তাই এ বার সম্মতি জানালাম।
প্রশ্ন: ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালটার জন্য ‘হ্যাঁ’ বললেন কেন? ‘বীথি’ চরিত্রটার মধ্যে এমন কী আলাদা দেখলেন?
রূপা: এমনি এমনি তো ‘হ্যাঁ’ বলিনি। এই গল্পের যিনি লেখিকা, তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন আলোচনা হয়েছে চরিত্রটা নিয়ে। প্রযোজক, লেখিকাকে শর্ত দিয়েছিলাম বেশ কিছু।
প্রশ্ন: কী শর্ত দিয়েছিলেন প্রযোজককে?
রূপা: আমার শর্ত ছিল— গল্পটা বাস্তবসম্মত হতে হবে। সেটে ঢুকেই অন্দরসজ্জায় বেগুনি পর্দায় চড়া রং দেওয়া থাকবে না। অতিরঞ্জিত কিছু থাকবে না। যে হেতু আমি রিনা’দি (অপর্ণা সেন), কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছি, তাই পার্টটা যাতে পর্দায় দেখতে বাস্তবসম্মত লাগে, সেটাই চেয়েছি।
প্রশ্ন: এখন তো সপ্তাহে সপ্তাহে টিআরপি-র টার্গেট! এই দিকটা ভেবে দেখেছেন?
রূপা: আমি এই বিষয়টা নিয়েই অবগত নই। কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতা তো সব ক্ষেত্রেই রয়েছে। তাই বলে কাজের গুণগত মানের সঙ্গে কোনও রকম আপস করব না।
প্রশ্ন: এখন পুরোপুরি অভিনয়ে ফিরছেন। রাজনীতির ময়দানে কি দেখা যাবে আপনাকে?
রূপা: ভীষণ ভাবেই! কয়েক দিন পরেই দিল্লি যাব। মাসে তো ১৫ দিন সিরিয়ালের জন্য প্রয়োজন আমাকে। তার পরের সময়টা তো রয়েছে। যার যা দায়িত্ব, তাকে সেটা পালন করতেই হবে। তা ছাড়াও রাজনীতি করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। সেটা আপাতত এই কাজ করে উপার্জন করব। রাজনীতি-অভিনয় দুটোই চলবে একসঙ্গে।